বর্ণিল সাজে মুজিব’স বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল

0

মুখরোচক বাঙালি খাবারের পাশাপাশি অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী সব ধরনের খাবার নিয়ে চলছে “মুজিব’স বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল: টেস্ট অফ বাংলাদেশ”।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বনানী মাঠে উৎসবের উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী।

তিনদিনব্যাপী এই উৎসবে ৪৩টি স্টলের মাধ্যমে মোট ৩৯টি প্রতিষ্ঠান প্রায় অর্ধশতাধিক মুখরোচক ও ঐতিহ্যবাহী খাবার প্রদর্শন ও বিক্রয় করছে।

ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওসহ স্বনামধন্য চেইন হোটেলগুলোও তাদের বিখ্যাত বাংলাদেশি খাবার এই আয়োজনে উপস্থাপন করে। প্রতিদিন খাদ্য উৎসবের পাশাপাশি ছিল বাঙালির সকল ঐতিহ্যবাহী গান ও পুঁথিপাঠের আসর।

বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং স্পেলবাউন্ড কমিউনিকেশন লিমিটেডের পরিচালনায় হচ্ছে বর্ণিল এ খাবারের উৎসব।

আয়োজকরা জানান, বঙ্গবন্ধুর চেতনা ধারণ করে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অংশ হিসেবে মুজিব’স বাংলাদেশ পর্যটন ব্র্যান্ডনেম প্রচার এ উৎসবের অন্যতম উদ্দেশ্য। টেস্ট অব বাংলাদেশ ফুড ফেস্টিভ্যাল আয়োজনটি মূলত দেশের ঐতিহ্যবাহী খাদ্য সংস্কৃতির প্রচার ও অঞ্চলভিত্তিক খাবারসমূহের টেকসই সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে এটি আয়োজন করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই আয়োজন বিদেশের বিভিন্ন গন্তব্যেও করা হবে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী জানান, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের উদ্যোগে মুজিব’স বাংলাদেশ বিশেষ কান্ট্রি ব্র্যান্ডনেমের প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবিত ব্র্যান্ডনেমটি প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ২০২১ সালে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে লোগো ডাকটিকিটের মাধ্যমে উন্মোচন করা হয়, যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সব ধরনের পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রচার-প্রচারণায় ব্যবহার করা হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, অঞ্চলভিত্তিক ঐতিহ্যবাহী খাবার যেমন খুলনার বিখ্যাত চুই ঝালের মাংস, চট্টগ্রামের মেজবান, ঢাকার বিখ্যাত হাজীর বিরিয়ানি, বিউটির লাচ্ছি, বাকরখানি, নান্নার বিরিয়ানি, বিসমিল্লাহর চাপ, মোস্তাকিমের চাপ, বোবার বিরিয়ানি, বরিশালের গুটিয়ার সন্দেশ, বগুড়ার দই, কুমিল্লার মাতৃভাণ্ডারের রসমালাই, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বাগেরহাটের চিংড়িও সুন্দরবনের মধু, যশোরের জামতলার সাদেক গোল্লা, মৌলভীবাজারের মনিপুরী খাবার, কক্সবাজারের সী ফুড, আগুন পানসহ অন্যান্য খাবারের পসরা সাজানো হয়েছে এ আয়োজনে।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর বনানী পার্কে চলবে এই উৎসব। এই আয়োজনে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি দূতাবাস, মিশন ছাড়াও আন্তর্জাতিক সংস্থার কূটনৈতিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

৬ মে সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

সেতু ইসরাত
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here