অমর একুশে বইমেলা যেমন আমাদের প্রাণের সঞ্চার করে তেমনি খাবারের স্টলগুলো বইমেলায় জীবনীশক্তি সঞ্চার করে। মেলাকে উপলক্ষ করে মেলার একপাশে জমে উঠেছে খাবারের এসব স্টলগুলো। আড্ডা, গল্প, হাসি আর খাওয়া যেন এক অঙ্গে বাধা পড়েছে এই মেলায় এসে।
বেশ কয়েকটি স্টলে গেলাম আমরা। দেখতে পেলাম সেখানে স্টলার থেকে ক্রেতা দর্শনার্থী সবাই বেশ হাসিমুখে উপভোগ করছে সবকিছু। সন্ধ্যা নেমে গেছে। সূর্যটাও ঠিক ডুবে গেছে পশ্চিম আকাশে। আলোর ঝলকানিতে রঙিন মেলা। তার মাঝে সবচেয়ে আলোকিত দেখা যাবে বইমেলার এই জায়গাটা। সাজানো গুছানো অস্থায়ী খাবারের স্টলের চেয়ারে বসে আড্ডা চলতেই থাকে সবার। হাতে বইয়ের প্যাকেট। বোঝায় যাচ্ছে যে ঘন্টা খানিক জ্ঞানের রাজ্যে থাকার পরে এবার পেটের রাজ্যে কিছু দেওয়ার জন্য এসেছেন তারা। এমনই একটা গ্রুপের সাথে আমরা কথা বলি। তারা বলেন, “বইমেলায় এসে প্রিয় লেখকদের বই তো কিনেছি সাথে এই যে এখন পরিবারের সবাইকে খাওয়ানোর পরে ষোলকলা পুর্ন করে বাসায় যাবো আমরা।” অন্য একজন দর্শনার্থীর সাথে আমরা কথা বললে তিনি বলেন, “এখানকার খাবারের মানগুলো বেশ সন্তোষজনক বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।বন্ধুরা মিলে মেলায় এসে খাবার খাচ্ছি আমরা।” অপর একজন ক্রেতা বলেন, “এই ধরনের খাবারের স্টল আসলে প্রত্যেক মেলায় থাকা উচিত নাহলে যেন মেলা পূর্ন মনে হয় না।”
ক্রেতা, দর্শনার্থীদের পাশাপাশি উদ্যোক্তারাও বেশ আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত মেলায় স্টল দিয়ে। মানিকগঞ্জ পিঠা ঘরের একজন প্রতিনিধি জানান, “সবার উপচে পড়া ভিড়ের মাঝে বেশ আনন্দ লাগছে।আমরা খাবার দিতে হিমশিম খেলেও খাবারের কোয়ালিটি নিশ্চিত করছি শতভাগ।” সো গুড পিকেল হাউসের প্রতিনিধির সাথে কথা বললে তিনি আমাদের জানান, “মেলায় আমরা যেমনটা ভেবেছিলাম ঠিক তেমনই সাড়া পাচ্ছি।মেলার দিন বাড়ানোয় আরও বেশি ভালো লাগছে আমাদের।”
মেলা মানেই আনন্দ, উৎসব আর উদ্যোক্তাদের সফলতার ঝলমলে হাসি। এই হাসি ছড়িয়ে যাক বাংলাদেশের আনাচে কানাচে সর্বত্র আর উদোক্তারা এভাবেই এগিয়ে যাক, এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।
সাকিব মাহমুদ,
উদ্যোক্তা বার্তা