নব্বইয়ের দশকে স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর বিস্তারের পর থেকেই নারী রূপচর্চায় পার্লার ব্যবসার বিপুল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।
আইব্রোর প্লাক বা চুল কাটার মতো নিয়মিত সেবার পাশাপাশি ত্বক ও চুলের যত্ন, সৌন্দর্যবর্ধন ও রূপসজ্জার নানারকম সুযোগ থাকে পার্লারগুলোতে।
শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী বা গৃহিণী-সব ধরনের রূপসচেতন নারীর কাছেই ভালো পার্লারের চাহিদা অনেক। তাই এখন আর গুটিকয়েক নামী-দামী পার্লারের মধ্যে এ ব্যবসা সীমাবদ্ধ নেই। পাড়ার গলি থেকে মফস্বল শহরে ছড়িয়ে পড়েছে পার্লারগুলো।
ঈদ, বিভিন্ন উৎসব, বিয়ে ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের সময় পার্লারগুলোতে ভিড় থাকে সবচে বেশি। তাছাড়া সারা বছর ধরেই এই ব্যবসা থেকে মুনাফা লাভের সম্ভাবনা থাকে।
রাজধানীর বনশ্রীতে ‘ফলো মি’ বিউটি পার্লার দিয়ে হাজারো নারী ফলোয়ারের মন জয় করেছেন উদ্যোক্তা সানজিদা শ্যামলী।
ছোটবেলা থেকেই একটি পার্লার দেয়ার স্বপ্ন তাকে তাড়িয়ে বেড়িয়েছে।নোয়াখালীতে বড় হওয়া এই উদ্যোক্তা ছোটবেলা থেকেই রূপ সচেতনতার প্রতি ছিল ব্যাপক ঝোঁক।
উদ্যোক্তা সানজিদা শ্যামলী বললেন, ইচ্ছা ছিল নিজের জেলা নোয়াখালীতেই একটা পার্লার গড়ে তুলব। তাই রাজধানীতে এসে কাজ শেখা। ২০০৭ সালে পারসোনাতে কাজ শিখেছি। এছাড়াও কাজ করেছি বেশ কয়েক স্বনামধন্য পার্লার প্রতিষ্ঠানে।
ভাইবোনের মেঝো সানজিদা শ্যামলী।বাবা বেসরকারী জব করতেন আর মা গহিনী।
নিজে একটি পার্লার দিতে পারলেই হবে স্বপ্ন পূরণ। সে পথেই এগুতে থাকলেন উদ্যোক্তা। ২০২০ সালে ১২ লাখ টাকা পুঁজিতে রাজধানীর বনশ্রীতে গড়ে তুললেন তার স্বপ্নের পার্লার ‘ফলো মি’।
উদ্যোক্তা জানালেন, শুরুতে তাকে অনেক চ্যালেঞ্জ নিতে হয়েছে।একা হাতে সবকিছু করেছেন।পরিবারের সাপোর্ট ছিল অনেক বেশী। বর্তমানে পাঁচ জন কর্মী নিয়ে মাসে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা আয় করছেন।
উদ্যোক্তার পার্লারে ব্রাইডাল মেইকওভার,হলুদ মেইকওভার, পার্টি মেইকওভার সব ধরনের মেইকওভার সহ স্কিন কেয়ারের যাবতীয় কাজ করানো হয়।
উদ্যোক্তা সানজিদা শ্যামলী বললেন, পার্লারে ভালো ব্র্যান্ডের প্রোডাক্টস ব্যবহার করে থাকি। গ্রাহকের চাহিদার সঙ্গে তাদের সন্তুষ্টি আমার কাছে মূখ্য।
শ্যামলী জানালেন, ভবিষ্যতে তার ইচ্ছা স্কিন কেয়ার ও মেইকওভারে দেশের বাইরে থেকে ট্রেনিং নিবেন।
‘‘আমি সবসময় নিজের একটা পার্লারের স্বপ্ন দেখতাম।সেই স্বপ্ন আমার পূরণ হয়েছে, যোগ করলেন শ্যামলী।’’
সানজিদা শ্যামলীর এমন উদ্যোগে উপকৃত হচ্ছেন অন্যান্য নারীরাও। পার্লার ও রূপচর্চার উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে অনেক বেশী জেনেশুনে কাজ করা দরকার বলে মনে করেন সানজিদা শ্যামলী। সঙ্গে ভালো জায়গা থেকে অবশ্যই ট্রেনিং করতে হবে।
মাসুমা শারমিন সুমি
উদ্যোক্তা বার্তা