উদ্যোক্তা ইমরান হোসাইন তার উদ্যোগ দেশজ বিপণী নিয়ে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে উদ্যোক্তা জীবনের যাত্রা শুরু করেন। তিনি দেশীয় তাঁতের শাড়ি, থ্রি পিস, লুঙ্গি, শীতের শাল, চাদর ও বেডশীট নিয়ে কাজ করছেন।
শুরুতেই মূলধনের স্বল্পতা ছিল উদ্যোক্তার এছাড়াও পণ্যের সেরাটি খুঁজে বের করা কঠিন ছিল তার জন্য। বন্ধু ও বড় ভাইদের কাছ থেকে মূলধন বৃদ্ধি করার জন্য কিছু টাকা ধার নেন তারপর ইউটিউব ও গুগলের মাধ্যমে পণ্যের সেরাটির সম্পর্কে জেনে তারপর সরাসরি তাঁতীদের কাছে গিয়ে পণ্য নিয়ে আসা শুরু করেন উদ্যোক্তা। এরপর আর তেমন বড় কোনো সমস্যার মুখোমুখি হয়ে হয় নি উদ্যোক্তাকে। তবে আরেকটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ালো পণ্যের ফটোগ্রাফি করা আর তার মাধ্যমে ছবি আর পণ্যের মিল রাখা। এখনও এটা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন উদ্যোক্তা ।
উদ্যোক্তা সবসময়ই কাজ করতে পছন্দ করেন। নিজেকে কাজের মাঝে দেখতে পছন্দ করেন যাতে করে কোনো অলসতা না আসে। বিখ্যাত মানুষের জীবনী পড়েন উদ্যোক্তা যাতে করে তাদের কর্মস্পৃহা আত্নীকরন করতে পারেন এবং অনুপ্রেরণা গ্রহণ করতে পারেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি তার উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন উদ্যোক্তা। উদ্যোক্তার এই কর্মপরিধির ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সমাজে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদেরকে তেমন উৎসাহ দেওয়া হয় না, অনেকেই মনে করে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে কেনো এতো ছোট কাজ করবে।আমি চাই সবাই যেনো ছোট বড় সকল কাজকে সাপোর্ট করে। সমাজের সবাই যেন সৃষ্টিশীল কাজে অংশগ্রহণ করে এবং শিক্ষিত বেকার না হয়ে শিক্ষিত উদ্যোক্তা হয়।”
তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে সকল তরুণ উদ্যোক্তার উদ্দেশ্যে উদ্যোক্তা বলেন, “আপনারা মনোযোগ সহকারে কাজে মনোনিবেশ করুন,যে কাজ আপনার কাছে ভালো মনে হবে সেই কাজ ভালোভাবে করুন। যেইটাতে আপনি বেশি পারদর্শী সেইটাতে মনোযোগ বৃদ্ধি করুন।সময় নষ্ট না করে সবসময় গভীর চিন্তা সহকারে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যান।”
উদ্যোক্তা ইমরান হোসাইন স্বপ্ন দেখেন সমাজের প্রতিটি ছোট ছোট উদ্যোক্তারা একদিন বড় হবে। তাদের উদ্যোগের ব্যাপারে সবাই জানবে এবং সেগুলো কে প্রশংসার সাথে গ্রহণ করবে। সর্বোপরি উদ্যোক্তা স্বপ্ন দেখেন উদ্যোক্তা বান্ধব বাংলাদেশের।
সাকিব মাহমুদ,
উদ্যোক্তা বার্তা।