প্রথমবারের মতো শুরু হলো এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা

0

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আদলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শুরু হয়েছে এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ১৭ দিনব্যাপী এ মেলা চলবে। শেষ হবে আগামী ২৩ নভেম্বর। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ধারণা ছিল, নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা জমজমাট হয়ে উঠবে। আবাসন, ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে আবির্ভূত হবে। কিন্তু সেভাবে এখনও সেখানে গণবসতি হয়নি। ফলে যে উদ্দেশ্যে পূর্বাচলে আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করা হয়, তা পূরণ হচ্ছে না। দূরত্ব বেশি হওয়ার কারণে শহরের অনেকেই সেখানে যেতে পারেন না। সে জন্য আগারগাঁওয়ে এশিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করেছেন ব্যবসায়ীরা।

জালাল আহমেদ বলেন, আগামী বছর যাতে আরও জাঁকজমকপূর্ণভাবে মেলার আয়োজন করা যায়, সেই প্রস্তুতি এখন থেকে নিতে হবে। এটি রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইবিপি) বিকল্প মেলা নয়, বরং এটি ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়ক মেলা। এ মেলা ধীরে ধীরে আরও বড় পরিসরে হবে। বক্তব্যের এক পর্যায়ে বিইআরসি চেয়ারম্যান বিগত সরকারের ভুল পরিকল্পনার কারণে বাংলাদেশকে এখন বিদ্যুতের অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।

মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি মাহবুব আলম বলেন, পণ্য বাজারজাত করার উদ্দেশ্যে এর আয়োজন করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরা যাতে সহজে তাদের পণ্যের প্রচার ও প্রসার করতে পারে, সে জন্য শহরের মধ্যে আয়োজন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হবে এ মেলা।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো এমনভাবে ব্যবসা খাতে বিস্তার লাভ করছে, ছোট উদ্যোক্তারা তাদের কারণে নিজেদের প্রসারের সুযোগ পাচ্ছে না। এ পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেন বলেন, এখানে একসময় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন হতো। কিন্তু তা নারায়ণগঞ্জে চলে যাওয়ার কারণে শহরের অনেকেই সেখানে যেতে পারছে না। ফলে এ মেলার মাধ্যমে তাদের প্রত্যাশা পূরণ হবে।

কাশ্মীর থেকে বাংলাদেশের এ মেলায় অংশ নিচ্ছেন ব্যবসায়ী আরিফ কোরাইসি। মেলা জমজমাট হবে বলে তাঁর প্রত্যাশা। আয়োজকরা জানিয়েছেন, মেলায় মোট ২৮০টি স্টল থাকবে। তবে এখনও স্টল নির্মাণের কাজ করছেন ব্যবসায়ীরা। মেলায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা স্টল নিয়ে পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন। এতে আসবাব, ক্রোকারিজ, কসমেটিকস, খেলনা, তৈরি পোশাক, হোট টেক্সটাইল, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন পণ্যের স্টল অংশ নিয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here