গণপরিবহনসহ সব ধরণের যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু। রোববার (২৬ জুন) সকাল ৬টা থেকে পদ্মা সেতুতে যান চলাচল শুরু হয় । এই মাহেন্দ্রক্ষণটির জন্য বহু বছর অপেক্ষায় ছিল পদ্মার দুই পাড়ের মানুষ।
বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দীর্ঘতম সেতুটি উদ্বোধনের ফলে বহুদিনের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। শনিবার (২৫ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন।
আজ থেকে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ ফেরি ঘাটের ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন ছেড়ে সেতুর উপর দিয়ে মাত্র ৬ মিনিটে পদ্মা পার হতে পারবেন। চার লেনের পদ্মা সেতুতে ৮০ কিলোমিটার বেগে ছুটবে যানবাহন। এর মধ্য দিয়েই দেশের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের বহু বছরের দুর্ভোগের অবসান ঘটেছে।
মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা সেতু পার হতে চাইলে টোল দিতে হবে ১০০ টাকা। কার ও জিপের জন্য ৭৫০ টাকা আর পিকআপের জন্য ১২০০ টাকা দিতে হবে। মাইক্রোবাসে লাগবে ১৩০০ টাকা। বাসের জন্য আসনের ভিত্তিতে তিন ধরনের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। ছোট বাসে (৩১ আসন বা এর কম) ১৪০০ টাকা, মাঝারি বাসে (৩২ আসন বা এর বেশি) ২০০০ টাকা এবং বড় বাসে (৩ এক্সেল) ২৪০০ টাকা টোল দিতে হবে। পণ্যবাহী বাহনের ক্ষেত্রে ছোট ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) ১৬০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৫ থেকে ৮ টন) ২১০০ টাকা, মাঝারি ট্রাক (৮ থেকে ১১ টন) ২৮০০ টাকা, ট্রাক (৩ এক্সেল পর্যন্ত) ৫৫০০ টাকা এবং ট্রেইলার (৪ এক্সেল পর্যন্ত) পার হতে ৬০০০ টাকা টোল দিতে হবে। ৪ এক্সেলের বেশি হলে ট্রেইলারে ৬ হাজার টাকার সঙ্গে প্রতি এক্সেলে বাড়তি ১৫০০ টাকা দিতে হবে টোল বাবদ।
পদ্মা সেতু ব্যবহার করে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার জন্য ১৩ রুটের বাস ভাড়া নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
স্বপ্নের সেতু শুধু রাজধানী ঢাকা এবং দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগই স্থাপনই করেনি, এটি এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সংযোগ ও বাণিজ্যের দুয়ার খুলে দিয়েছে। তবে, রেল যোগাযোগ চালু হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা