ছোটবেলায় স্বপ্ন ছিল সরকারি চাকরি করবেন কিংবা আইনজীবী হবেন। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে লেখাপড়া শেষ করে অবশ্য সে পথে আর হাঁটেননি শায়লা আখন্দ। বরং দেশীয় ঐতিহ্য ধরে রেখে গ্রামীণ ঐতিহ্যের খাবারগুলো নতুন করে জনপ্রিয় করতে উদ্যোক্তা হয়ে উঠলেন। ২০০৯ সালে তার উদ্যোক্তা জীবনের শুরু।
ঐতিহ্যবাহী সব দেশীয় খাবার যেমন মুড়ির মোয়া, চিড়ার মোয়া, নিমকি, মুরালি, মনেক্কা, শাহি খুরমা, বাদাম পাপড়ি, বাদাম টানা, তিল পাপড়ি, তিল টানা, নারকেল নাড়ু, তিল নাড়ু, নানারকম পিঠা, শবে-বরাতের হালুয়া, প্যাকেটজাত মশলা পাওয়া যায় তার উদ্যোগ ‘সতেজ’-এ। আছে বিভিন্ন রকমের বৈশাখী গিফট আইটেম।
উদ্যোক্তা হওয়ার পথে সেরকম কারো সহযোগিতা বা সমর্থন পাননি। “পেছনের অনেক গল্প আছে, আশেপাশের মানুষ ও পরিবারে মানুষদের আমার পাশে না থাকা, এটা ছিল সবচেয়ে বড় বাধা। পরে বুঝাতে সক্ষম হলাম যে আমি কিছু করতে পারবো ও একজন ভাল উদ্যোক্তাও হতে পারব,” এভাবে নিজের সফলতার কথা উদ্যোক্তা বার্তাকে জানান শায়লা আখন্দ।
শুরুতে পরিবারের অন্যদের সহায়তা না পেলেও তার উদ্যোক্তা জীবনের শুরু থেকে বড় অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন তার হাসব্যান্ড।
শায়লার কর্মভুবনে এখন ৩০ -৩৫ জন কর্মী আছেন। অনলাইনে তার পেইজ ‘সতেজ ফুড’। পণ্য যাচ্ছে বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ড শপে, যার মধ্যে আছে স্বপ্ন, মীনা বাজার, সি. এস. ডি, প্রাণ ডেইলি শপিং, বেস্ট বাই, ট্রাস্ট ফ্যামিলি নিডস্, ইউনিমার্ট এবং লাজ ফার্মা। খুচরা বাজারেও যাচ্ছে তার পণ্য।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনায় তিনি জানান, “আমি চাই দেশীয় ঐতিহ্য যেনো হারিয়ে না যায়। সেসঙ্গে বিদেশেও আমাদের পণ্যের প্রসার ও পরিচিতি করাতে চাই।”
মাসুমা শারমিন সুমি
উদ্যোক্তা বার্তা