কাঁথার পাশাপাশি বহুমুখী নকশীর পণ্য ব্যবহারের চিন্তা এবং হস্তশিল্পের প্রতি ভালবাসা থেকে গৃহসজ্জায় বিভিন্ন পণ্যে নানা ডিজাইনের নকশী কাজ শুরু করেন উদ্যোক্তা আইরিন সুলতানা। নিজেকে সাবলম্বী করার জন্য খুলেছেন শোরুম, নাম দিয়েছেন ‘আইরিন্স ওয়ার্ড বুটিক্স।
উদ্যোক্তা আইরিন সুলতানা শুরুতে জানান, নকশী কাঁথা শিল্প নিয়ে গৃহবধূ থেকে উদ্যোক্তা হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়তে চান। উদ্যোক্তার আইরিন ওয়ার্ল্ড বুটিক্সে নকশী কাঁথার পাশাপাশি পাওয়া যায় হ্যান্ডিক্রাফট নকশী পাঞ্জাবি, নকশী চাদর, কুশন, কভারসহ বিভিন্ন আধুনিক পণ্য। তার নকশীর কাজ পৌঁছে গেছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। রাজধানী থেকে বিভিন্ন জেলায় উদ্যোক্তা নিজে গিয়ে পণ্য প্রদর্শণ ও বিক্রি করেন। তিনি জানান, নকশী কাঁথার চাহিদা বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
নিজের সম্পর্কে উদ্যোক্তা বলেন, সংসারের কাজের পাশাপাশি এবং সন্তানের লালন-পালনের সঙ্গে নিজে কিছু করে কর্মসংস্থান তৈরি করতে চান। সংসারের সব কাজ শেষ করে দুপুরের পর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত তেমন কোনো কাজ থাকে না তার। ভাবলেন সেই সময়টা বসে না থেকে সময় কাজে লাগানো যায় কিভাবে? মূলত সেখান থেকে কাজ শুরু করে মাসে একটা করে কাঁথা তৈরি করে ৭শ’ থেকে ৮শ’ টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকেন। আরো পণ্য বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে সংসারের বিভিন্ন কাজে লাগান তিনি।
এর পর সফল এই নারী উদ্যোক্তা বলেন, নিজের তৈরি একটি নকশি কাঁথা ২৫শ’ টাকায় বিক্রি করতে পেরে আত্মবিশ্বাসী হয়ে পুরোদমে চিন্তা নিয়ে কাজ শুরু করেন। কঠোর পরিশ্রমে গড়ে তুলেছেন নকশীর পণ্য ‘আইরিন ওয়ার্ড বুটিক্স’। স্বামী ও পরিবারের সকলের সহযোগীতায় প্রায় ৫ দশকের যাত্রা চলমান রয়েছে। কাজের প্রতি ভালবাসা থেকে এ ব্যবসা করেন আইরিন।
তিনি আরো বলেন, নিজের জন্য এবং গ্রামের অসহায় কর্মহীন নারীদের জন্য কিছু করতে পারাটা সবসময় আমার কাছে গর্বের। আমার আজকের এই অবস্থানের পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান রয়েছে।
উদ্যোক্তা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আইরিন সুলতানা বলেন, আমি পরিশ্রম করে যাবো। যত দিন সময় লাগবে লাগুক আমি এভাবে কাজ করে যাবো। ঋণ পেলে অনেক সহযোগীতা হতো, তবে থেমে থাকবো না’। বুটিক্সের পাশাপাশি পার্লারও পরিচালনা করেন বলে গল্পের শেষে জানান উদ্যোক্তা আইরিন সুলতানা।
মেহনাজ খান
উদ্যোক্তা বার্তা ঢাকা