নওগাঁয় আম ও আমজাত পণ্য মেলায় ৫০ জাতের আম

0

নওগাঁ শহরের নওজোয়ান মাঠে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী আম ও আমজাত পণ্য মেলা। মেলায় ঠাঁই পেয়েছে অর্ধশতাধিক জাতের দেশি বিদেশি আম ও বিভিন্ন ধরণের আমের আচার। এছাড়া বিভিন্ন দেশি ফলেরও প্রদর্শনী আছে।

উত্তম কৃষি অনুশীলনের মাধ‍্যমে উৎপাদিত নিরাপদ ও স্বাস্থ‍্যবান্ধব আম চাষে উৎসাহিত করার লক্ষ‍্যে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ঘাসফুল ও নওগাঁ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে নওগাঁয় আম ও আমজাত পণ্য মেলার আয়োজন করা হয়।

মেলায় ঘাসফুলের এসইপি প্রকল্পের উপকারভোগীদের ২৬টি ও নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পাঁচটিসহ মোট ৩১টি স্টলে আম্রপালি, ল্যাংড়া, বারি-৪, কাটিমন, ফজলী, হাড়িভাঙা, শ্রাবণী, বউ ভোলানো, বারি-১৩, গৌড়মতি, আশ্বিনা, তরফদার ভোগ, মল্লিকা, সুরমা, ফজলী, নাক ফজলী, হিমসাগর, কুমরাজালি, এসইপি-২, ইন্ডিয়ান চোষা এবং বিদেশি জাতের আমের মধ্যে মিয়াজাকি, কিনসিংটন, চেয়াংমাই, কিউজাই, তাইওয়ান গ্রিন, রেড পালমার, ব্যানানাসহ প্রায় ৫০ প্রজাতির আম প্রদর্শনী দেখা গেছে।

মেলায় আম ও আমজাত পণ্যের প্রদর্শনীর পাশাপাশি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নওগাঁর জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসেফ) এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার একেএম জাহিরুল হক ও ঘাসফুলের উপ-পরিচালক জয়ন্ত কুমার বসু।

পিকেএসেফ ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায় বেসরকারি উন্নয়ন ঘাসফুলের সাস্টেইনেবল এন্টারপ্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) প্রকল্পের অধীনে জেলার নিয়ামতপুর ও সাপাহারে উপকারভোগী কৃষি উদ্যোক্তাদের বাগানে উৎপাদিত বাহারি ও সুস্বাদু আম এ মেলায় প্রদর্শন করা হয়।

মেলায় ঘুরতে আসা দর্শকরা বলেন, এখানে এসে দেশ-বিদেশের নতুন নতুন জাতের আম দেখেছেন। বারি-১৩, তরফদার ভোগ, বিদেশি আম চিয়াংমাই, আমেরিকান পালমার, মিয়াজাকি, ব্যানানা নওগাঁর মাটিতে সম্ভাবনাময় আম হতে পারে।

ঘাসফুলের এসইপি প্রকল্পের প্রকল্প ব্যবস্থাপক কুদরতে খোদা মো. নাসের বলেন, ঘাসফুল সংস্থা পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) আর্থিক সহযোগিতায় নওগাঁর নিয়ামতপুর ও সাপাহারে সহস্রাধিক কৃষককে নিরাপদ আম উৎপাদনে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। কৃষকদের উৎপাদিত আম দেশে ও বিদেশে বাজারজাতকরণে সহযোগিতা করে আসছে ঘাসফুল।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, আমের সঙ্গে নওগাঁবাসীর নাড়ির সম্পর্ক। বর্তমানে নওগাঁর অর্থনীতি ও সংস্কৃতিতে আমের ভূমিকা ব্যাপক। নওগাঁয় উৎপাদিত আমের ৯৫ শতাংশ আমই রপ্তানি উপযোগী। আম রপ্তানির বাধা কাটাতে পারলে শুধু নওগাঁ নয় আম হতে পারে দেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানিকারি কৃষিপণ্য।

ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here