স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ.কে. আজাদ

দেশের সরকারি হাসপাতালগুলো ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা দিতে প্রস্তুত বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ.কে. আজাদ।

শুক্রবার রাজধানীর মিরপুর-১ এ ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে আগ্রহী ও পেশা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সচেতন করার লক্ষ্যে হেলথ ইনফরমেটিকস বিভাগের অধীনে ক্যারিয়ার সিম্পোজিয়াম আয়োজনে এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।

কর্মশালাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস। সকাল থেকেই এ বিষয়ে আগ্রহী ছাত্র-ছাত্রী এবং আগ্রহী অংশগ্রহণকারীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

ইনফরমেশন টেকনোলজি বর্তমানে স্বাস্থ্যখাতে সৃষ্টি করেছে বিপুল সম্ভাবনা জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ.কে. আজাদ বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে নিরন্তর। সেই উন্নয়নের জোয়ারে সব ধরনের সরকারি হাসপাতালগুলো এখন ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা দেবার জন্য প্রস্তুত। শুধু প্রয়োজন হেলথ ইনফরমেটিকসের দক্ষতা।

অ্যালাইড হেলথ সায়েন্সেসের ডীন এবং হেলথ ইনফরমেটিকস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শারমিন পারভীন

ই-হেলথ ও ই-স্বাস্থ্যসেবায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে বিইউএইচএস এর হেলথ ইনফরমেটিকস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন অংশগ্রহনকারী সকলেই। অতিথিদের বক্তব্যে ই-হেলথ পলিসির দ্রুত বাস্তবায়নের প্রত্যাশার কথা উঠে আসে।

আমন্ত্রিত বক্তা ও অতিথিদের বক্তব্য প্রদানের পর কর্মশালায় অংশগ্রহনকারীদের জন্য একটি উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বের আয়োজন ছিল।

যেখানে বিভিন্ন বয়সের অংশগ্রহনকারীরা তাদের প্রশ্ন উপস্থাপনের সুযোগ পায়। প্রশ্নোত্তর পর্বে তরুণদের বুদ্ধিদীপ্ত জিজ্ঞাসা এক নতুন মাত্রা যোগ করে পুরো আয়োজনে।

‘এমএস ইন হেলথ ইনফরমেটিকস’ শীর্ষক ক্যারিয়ার সিম্পোজিয়ামে কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্স এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ফরিদুল আলম।

অনুষ্ঠানের একাংশ

প্রধান বক্তা হিসেবে তরুণ প্রজন্মের সামনে কর্মশালায় বক্তব্য উপস্থাপন করেন অ্যালাইড হেলথ সায়েন্সেসের ডীন এবং হেলথ ইনফরমেটিকস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শারমিন পারভীন। সহকারী বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন ডা. মোঃ জাহিদুল ইসলাম এবং এনামুল হক।

বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস দুই বছর এবং দেড় বছর মেয়াদে হেলথ ইনফরমেটিকস এর উপর মাস্টার্সের সুযোগ দিয়ে থাকে। যেখানে বিভিন্ন সেমিস্টারে ছাত্রীছাত্রীরা টেলিহেলথ, এম হেলথ আইটি ইন হেলথকেয়ার, রিসার্চ মেথোডোলজি,মডেলিং, ভিজ্যুয়ালাইজেশন, ক্লিনিকাল ডিসিশন, প্রটোকল ডেভেলপমেন্টসহ স্বাস্থ্যখাতে সব ধরনের কম্পিউটার এপ্লিকেশনের ব্যবহারিক শিক্ষা পেয়ে থাকে।

 

 

সাদিয়া সূচনা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here