আজ আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২১। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হল ‘খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর: মানুষের জন্য যুব উদ্ভাবন’।
প্রতি বছরের ১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত হয়ে থাকে। ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালনের প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছিল। দিনটি প্রথম পালিত হয় ২০০০ সালে।
এর আগে তারুণ্যের বিকাশ ও উন্নয়নে ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের ‘ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অব মিনিস্টার রেসপনসিবল ফর ইয়ুথ’ ১২ আগস্টকে ‘আন্তর্জাতিক যুব দিবস’ হিসেবে উদ্যাপনের প্রস্তাব করে।
বাংলাদেশের জন্য দিবসটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠিই তরুণ ও যুবক। তারাই উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রকৃত কারিগর।
সম্প্রতি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের তরুণ ও যুব সমাজ এখন চাকরি খুঁজছে না, নিজেরাই চাকরি দেয়ার ব্যবস্থা করছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প খাত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্যোক্তা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১০ সালে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তুলেছিলেন প্রত্যন্ত দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে। বর্তমানে ৭০০০ ডিজিটাল সেন্টারে ১৩ হাজার উদ্যোক্তা কাজ করছে।
আইসিটি খাতে ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ লক্ষাধিক কর্মসংস্থান তৈরির করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
বিশ্বের সব দেশের সরকারের মধ্যে তাদের দেশের যুবকদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সচেতনতা তৈরি করা এই দিবসের লক্ষ্য। বিশ্বের সব দেশকে সচেতন করা যে , যুবকদের প্রতি মনোযোগ দেয়ার প্রয়োজন আছে। তাদের শিক্ষা থেকে স্বনির্ভর হওয়ার পথে তাদের সাহায্য করা সরকারের কর্তব্য । এই উপলব্দি করতে প্রতিবছর যুব দিবস পালিত হয়।
দেশের তরুণ ও যুব সমাজই উন্নয়নের চাবিকাঠি। তরুণসমাজকে উন্নয়নের মূলধারায় আরও বেশি সম্পৃক্ত করা এবং সে ব্যাপারে রাষ্ট্র ও পরিবারের সহযোগিতা বিশেষ প্রয়োজন।
উদ্যোক্তা বার্তা রিপোর্ট