দুধের উৎপাদন বাড়াতে আমদানি বন্ধ চান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

0

বিদেশ নির্ভরতার কারণে দেশে গরু-ছাগল ও দুধের উৎস নষ্ট হচ্ছে মন্তব্য করে আমদানি পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

দেশীয় উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেছেন, “দুধের উৎপাদন ঘাটতি পূরণে যেভাবে আমদানি হচ্ছে, তা বন্ধ করতে হবে। আমদানি নির্ভরতা থাকলে যে উৎসগুলো আছে, তা নষ্ট হয়ে যাবে। কাজেই বিদেশ নির্ভরতা, আমদানি নির্ভরতা ও টেকনোলজি বদলাতে চাই।”

ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এক সেমিনারে কথা বলছিলেন ফরিদা আখতার।

প্রাণিসম্পদ খাত ‘অসম সংবাদের শিকার’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমাদের আমিষ জাতীয় খাদ্যের যোগান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ থেকে আসে। যদি এ ব্যাপারে মূল্যায়ন না করা হয়, তাহলে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পরবে।

“নারীরা অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে গবাদি পশু পালন করে থাকে। চরাঞ্চলে যাদের কিছুই নাই, এমনকি স্বামী পরিত্যক্তা, তারাও গবাদি পশু পালন করে বেঁচে থাকে।”

উৎপাদন বাড়াতে অনেক খামারি ও ওষুধ কোম্পানি ওষুধ এবং অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “এর ফলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপদ দুধ ও মাংস সরবরাহ করছে কিনা, সে লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে।

“দেশীয় জাতের গরুর দুধের নির্ভরশীলতা বিদেশি গরুর চেয়ে কম হলেও বেশি দুধের আশায় ফিড নির্ভর না হয়ে খামারিদের গোচারণ ভূমি নির্ভর হতে হবে এবং তা রক্ষা করতে হবে। কৃষিতে আগাছানাশক ঘাস মারতে হার্বিসাইড প্রয়োগ করার ফলে গরুর ঘাস নষ্ট হচ্ছে, এ বিষয়ে কৃষির সঙ্গে সমন্বয় করা দরকার।”

ঘরে ঘরে ক্ষুদ্র খামারিদের সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে দুধের ঘাটতি মিটিয়ে দুধের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করে যাবে বলে জানান তিনি।

ফিশারিজ এন্ড লাইভস্টক জার্নালিস্টস ফোরাম (এফএলজেএফ) আয়োজিত ‘দেশের ডেইরি খাতের সমস্যা-সম্ভবনা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রেয়াজুল হক, এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক এম এ সালেক ও এফএলজেএফের সভাপতি এম এ জলিল মুন্না রায়হান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান বক্তব্য দেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here