গুগলের যাত্রার সূচনা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র, যারা তখন পিএইচডি করছিলেন। তাদের নাম ল্যারি পেজ আর সের্গেই ব্রিন।

এ দুই জনের হাতেই সৃষ্টি হয়েছিল গুগল, যাকে অনলাইন জগতে এখন পৃথিবীর অন্যতম সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি বলা যায়।

১৯৯০ দশকের মাঝামাঝির কথা। স্ট্যামফোর্ডের দু’জন পোস্ট গ্র্রাজ্যুয়েট ছাত্রের মাথায় এমন একটা আইডিয়া এলো, যা পরে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছিল ইন্টারনেট জগতে।

উদ্যোক্তা সের্গেই ব্রিন বলেন, ‘আমাদের সব সময়ই মনে হয়েছিল যে এ রকম একটা উদ্যোগের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সে সময়টা আমাদের চিন্তা ছিল একটা খুব ভালো সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করা এবং যত বেশি সম্ভব লোকের কাছে তা পৌঁছানো।’

উদ্যোক্তা ল্যারি পেজের কথায়, ‘আমাদের মিশন ছিল বিশ্বের তথ্যকে সুবিন্যস্ত করা, যেখানে সারা দুনিয়ার লোক ঢুকতে পারবে, সবার উপকার হবে। আমার মনে হয়েছিল সারা পৃথিবীর জন্য এটা একটা দারুণ ব্যাপার হবে।’

ল্যারি খুব হাসতো। ও ছিল খুব বুদ্ধিমান, কিন্তু মজার। আর সের্গেই ছিল একটু সিরিয়াস। কিন্তু দু’জনেরই মধ্যে এরকম একটা ভাব ছিল যে- আমরা আমাদের মত করে কাজটা করতে চাই। এটা হয়তো তাদের ব্যক্তিত্বের একটা অংশ ছিল এবং এ জন্যই গুগল এত অন্য রকম একটা জায়গা হয়ে উঠতে পেরেছে।

ল্যারি পেজের জন্ম মিশিগান অঙ্গরাজ্যে। আর সের্গেই ব্রিনের জন্ম হয়েছিল রাশিয়ায়। তবে দু’জনেরই বাবা-মা ছিলেন শিক্ষাবিদ এবং দু’জনেই স্ট্যামফোর্ডে কম্পিউটারে সায়েন্সে পিএইচডি করতে যান। তাদের প্রথম পরিচয় হয় ১৯৯৫ সালে। তখন ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালি ছিল এক উজ্জ্বল সম্ভাবনার জায়গা।

সবখানেই একটা প্রাণচাঞ্চল্য, সবখানেই নতুন কিছুর জন্ম হচ্ছে। সবকিছুই সম্ভব। ১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়টায় সবচেয়ে দারুণ ব্যাপারটা ছিল, সবখানেই তখন স্টার্টআপ, মানে নতুন কিছু একটা ব্যবসা শুরু করা- প্রায় বিস্ফোরণের মত হচ্ছিলো। তখনকার গ্র্যাজুয়েট কোর্সের ছাত্রদের এক-চতুর্থাংশই কিছু-না কিছু স্টার্টআপ করছে।

ফ্যাকাল্টিগুলোরও তখন স্টার্টআপ ছিল। কাজেই স্ট্যানফোর্ডের প্রফেসরদের বেশির ভাগই তখন তাদের আগেকার স্টার্টআপের আয়ের কারণে মাল্টি-মিলিওনিয়ার হয়ে গেছেন।একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানীর জন্য সেটা ছিল এক আশ্চর্য জায়গা।

১৯৯৬ সালে পেজ আর ব্রিন একটি থিসিস প্রকল্প শুরু করলেন- কিভাবে ইন্টারনেটে বিভিন্ন পেজ খুঁজে পাবার প্রক্রিয়াটাকে উন্নত করা যায়। এখন এটা কল্পনা করা সহজ। কিন্তু ইন্টারনেটের প্রথম যুগে কোন কিছু খুঁজে পাবার প্রক্রিয়াটা ছিল খুবই বিশৃঙ্খল এবং খুব ঝামেলার। কারণ তখনকার দিনে সার্চ ইঞ্জিন বলে কিছু ছিল না।

আজকালকার লোকেরা হয়ত বুঝবে না যে তখনকার ইন্টারনেট কেমন ছিল। আসলে আক্ষরিকভাবেই তখন সার্চ বলে কিছু ছিল না। আপনাকে কিছু পেতে হলে হাতে তৈরি ইনডেক্স বা সূচি থেকে কোন কিছু খুঁজে বের করতে হতো।

ইন্টারনেটের দুনিয়া তখন এত ছোট ছিল যে আমার ওয়েবপেজে কেউ ক্লিক করলে ব্যবহারকারী তা লগ করে রাখতেন, কি উত্তেজনা যে ওয়েবপেজে কেউ একজন ক্লিক করেছে।

উদ্যোক্তা পেজ আর ব্রিন বুঝতে পারলেন, কেউ যখন কোন ওয়েবপেজ থুঁজছে তখন সেটা যে শুধু প্রাসঙ্গিক হতে হয় তাই নয়, বরং সেটা আগেকার ব্যবহারকারীদের চোখে মূল্যবান কিনা- তাও দেখা হয়।

পেজ র‍্যাংকিং, এ্যালগরিদম- এক নতুন আইডিয়া:

পেজ র‍্যাংকিং ছিল একটা নতুন আইডিয়া। একাডেমিক নিবন্ধ যেভাবে অন্যরা পড়ে মূল্যায়ন করেন, তা থেকেই এর অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন পেজ আর ব্রিন। কারণ তারা তাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকেই এটা জানতেন। আর এজন্য তারা ব্যবহার করেন জটিল এক ধরণের গণিত- যাকে বলা হয় এ্যালগরিদম। কম্পিউটার কি কাজ করবে এবং কিভাবে কাজ করবে- তাকে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বলে দেয়ার একটা পদ্ধতি হচ্ছে এ্যালগরিদম।

পেজ র‍্যাংকের মূলে যে চমৎকার আইডিয়াটা কাজ করছে তা হলো- এ ক্ষেত্রে আপনি ওয়েবের গঠনটাকেই ব্যবহার করছেন। অর্থাৎ অন্য লোক যত বেশি আপনার পেজটির প্রতি আকৃষ্ট হবে ততই আপনার পেজটি শক্তিশালী, বিশ্বাসযোগ্য এবং প্রধান হয়ে উঠবে।

অসংখ্য রকম নেটওয়ার্ক মিলে যে ইন্টারনেট- তাতে ঠিক কোন জিনিসটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নির্ধারণের জন্য এখানে ব্যাকলিংক কাঠামোর সুবিধাটা নেয়া হচ্ছে। এর ওপর ভিত্তি করেই পেজ র‍্যাংকিং এ্যালগরিদমটা কাজ করছে।

এই এ্যালগরিদমটা ছিল ব্যাকরাব নামে একটা সার্চ ইঞ্জিনে। এটা পেজ ও ব্রিন চালু করেছিলেন ১৯৯৬ সালে।

বানানের ভুলে ‘গুগোল‘ হয়ে গেল ‘গুগল’:

ব্যাকরাব তখন এতই জনপ্রিয় হয়েছিল যে প্রায়ই চাপ সামলাতে না পেরে স্ট্যামফোর্ডের ইন্টারনেট ক্র্যাশ করতো। এসময়ই এর দুই প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি ও সের্গেই ভাবলেন- কোম্পানিটার একটা নতুন নাম দরকার। নানা জনের আইডিয়া শোনার জন্য সবাই একটা ‘ব্রেনস্টর্মি’ সভায় বসলেন। সেই সভা এখন তথ্য-প্রযুক্তি যুগের কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছে। সেখানেই গুগল নামটির প্রস্তাব করা হয়।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা বোর্ডে লেখা হলো সেই নাম। এটা ছিল Googol- গণিতশাস্ত্রের একটা শব্দ, যার অর্থ ১ এর পিঠে ১০০টা শূন্য। কিন্তু সেটা লিখতে গিয়ে বানানে একটা ভুল হয়ে গেল, হয়তো অনিচ্ছাকৃতভাবে অথবা কে জানে হয়তো ইচ্ছে করেই।

কারণ আসলে শব্দটা হচ্ছে googol- ‘জি ডবল ও জি ও এল’। যার মানে হচ্ছে একটা গাণিতিক সংখ্যা, একের পিঠে একশটা শূন্য। ‘জি ডবল ও জি এল ই’ নয়। কিন্তু সেটাই টিকে গেল। ১৯৯৭ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর গুগল ডটকম ডোমেইন নামটি রেজিস্টার করা হলো।

উদ্যোক্তা পেজ আর ব্রিন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ছেড়ে বাইরে বেরোলেন। তারা বন্ধু, পরিবার, আর কয়েকজন বিনিয়োগকারীর সাহায্য নিয়ে ১০ লাখ ডলার তুললেন এবং চালু করলেন তাদের কোম্পানি। এর অফিস ছিল তাদের এক বন্ধুর গ্যারাজে।

গুগলের যাত্রার সূচনা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র, যারা তখন পিএইচডি করছিলেন। তাদের নাম ল্যারি পেজ আর সের্গেই ব্রিন।

এ দুই জনের হাতেই সৃষ্টি হয়েছিল গুগল, যাকে অনলাইন জগতে এখন পৃথিবীর অন্যতম সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানি বলা যায়।

১৯৯০ দশকের মাঝামাঝির কথা। স্ট্যামফোর্ডের দু’জন পোস্ট গ্র্রাজ্যুয়েট ছাত্রের মাথায় এমন একটা আইডিয়া এলো, যা পরে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছিল ইন্টারনেট জগতে।

উদ্যোক্তা সের্গেই ব্রিন বলেন, ‘আমাদের সব সময়ই মনে হয়েছিল যে এ রকম একটা উদ্যোগের ব্যবসায়িক সম্ভাবনা আছে। কিন্তু সে সময়টা আমাদের চিন্তা ছিল একটা খুব ভালো সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করা এবং যত বেশি সম্ভব লোকের কাছে তা পৌঁছানো।’

উদ্যোক্তা ল্যারি পেজের কথায়, ‘আমাদের মিশন ছিল বিশ্বের তথ্যকে সুবিন্যস্ত করা, যেখানে সারা দুনিয়ার লোক ঢুকতে পারবে, সবার উপকার হবে। আমার মনে হয়েছিল সারা পৃথিবীর জন্য এটা একটা দারুণ ব্যাপার হবে।’

ল্যারি খুব হাসতো। ও ছিল খুব বুদ্ধিমান, কিন্তু মজার। আর সের্গেই ছিল একটু সিরিয়াস। কিন্তু দু’জনেরই মধ্যে এরকম একটা ভাব ছিল যে- আমরা আমাদের মত করে কাজটা করতে চাই। এটা হয়তো তাদের ব্যক্তিত্বের একটা অংশ ছিল এবং এ জন্যই গুগল এত অন্য রকম একটা জায়গা হয়ে উঠতে পেরেছে।

ল্যারি পেজের জন্ম মিশিগান অঙ্গরাজ্যে। আর সের্গেই ব্রিনের জন্ম হয়েছিল রাশিয়ায়। তবে দু’জনেরই বাবা-মা ছিলেন শিক্ষাবিদ এবং দু’জনেই স্ট্যামফোর্ডে কম্পিউটারে সায়েন্সে পিএইচডি করতে যান। তাদের প্রথম পরিচয় হয় ১৯৯৫ সালে। তখন ক্যালিফোর্নিয়ার সিলিকন ভ্যালি ছিল এক উজ্জ্বল সম্ভাবনার জায়গা।

সবখানেই একটা প্রাণচাঞ্চল্য, সবখানেই নতুন কিছুর জন্ম হচ্ছে। সবকিছুই সম্ভব। ১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়টায় সবচেয়ে দারুণ ব্যাপারটা ছিল, সবখানেই তখন স্টার্টআপ, মানে নতুন কিছু একটা ব্যবসা শুরু করা- প্রায় বিস্ফোরণের মত হচ্ছিলো। তখনকার গ্র্যাজুয়েট কোর্সের ছাত্রদের এক-চতুর্থাংশই কিছু-না কিছু স্টার্টআপ করছে।

ফ্যাকাল্টিগুলোরও তখন স্টার্টআপ ছিল। কাজেই স্ট্যানফোর্ডের প্রফেসরদের বেশির ভাগই তখন তাদের আগেকার স্টার্টআপের আয়ের কারণে মাল্টি-মিলিওনিয়ার হয়ে গেছেন।একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানীর জন্য সেটা ছিল এক আশ্চর্য জায়গা।

১৯৯৬ সালে পেজ আর ব্রিন একটি থিসিস প্রকল্প শুরু করলেন- কিভাবে ইন্টারনেটে বিভিন্ন পেজ খুঁজে পাবার প্রক্রিয়াটাকে উন্নত করা যায়। এখন এটা কল্পনা করা সহজ। কিন্তু ইন্টারনেটের প্রথম যুগে কোন কিছু খুঁজে পাবার প্রক্রিয়াটা ছিল খুবই বিশৃঙ্খল এবং খুব ঝামেলার। কারণ তখনকার দিনে সার্চ ইঞ্জিন বলে কিছু ছিল না।

আজকালকার লোকেরা হয়ত বুঝবে না যে তখনকার ইন্টারনেট কেমন ছিল। আসলে আক্ষরিকভাবেই তখন সার্চ বলে কিছু ছিল না। আপনাকে কিছু পেতে হলে হাতে তৈরি ইনডেক্স বা সূচি থেকে কোন কিছু খুঁজে বের করতে হতো।

ইন্টারনেটের দুনিয়া তখন এত ছোট ছিল যে আমার ওয়েবপেজে কেউ ক্লিক করলে ব্যবহারকারী তা লগ করে রাখতেন, কি উত্তেজনা যে ওয়েবপেজে কেউ একজন ক্লিক করেছে।

উদ্যোক্তা পেজ আর ব্রিন বুঝতে পারলেন, কেউ যখন কোন ওয়েবপেজ থুঁজছে তখন সেটা যে শুধু প্রাসঙ্গিক হতে হয় তাই নয়, বরং সেটা আগেকার ব্যবহারকারীদের চোখে মূল্যবান কিনা- তাও দেখা হয়।

পেজ র‍্যাংকিং, এ্যালগরিদম- এক নতুন আইডিয়া:

পেজ র‍্যাংকিং ছিল একটা নতুন আইডিয়া। একাডেমিক নিবন্ধ যেভাবে অন্যরা পড়ে মূল্যায়ন করেন, তা থেকেই এর অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন পেজ আর ব্রিন। কারণ তারা তাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকেই এটা জানতেন। আর এজন্য তারা ব্যবহার করেন জটিল এক ধরণের গণিত- যাকে বলা হয় এ্যালগরিদম। কম্পিউটার কি কাজ করবে এবং কিভাবে কাজ করবে- তাকে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বলে দেয়ার একটা পদ্ধতি হচ্ছে এ্যালগরিদম।

পেজ র‍্যাংকের মূলে যে চমৎকার আইডিয়াটা কাজ করছে তা হলো- এ ক্ষেত্রে আপনি ওয়েবের গঠনটাকেই ব্যবহার করছেন। অর্থাৎ অন্য লোক যত বেশি আপনার পেজটির প্রতি আকৃষ্ট হবে ততই আপনার পেজটি শক্তিশালী, বিশ্বাসযোগ্য এবং প্রধান হয়ে উঠবে।

অসংখ্য রকম নেটওয়ার্ক মিলে যে ইন্টারনেট- তাতে ঠিক কোন জিনিসটা গুরুত্বপূর্ণ, তা নির্ধারণের জন্য এখানে ব্যাকলিংক কাঠামোর সুবিধাটা নেয়া হচ্ছে। এর ওপর ভিত্তি করেই পেজ র‍্যাংকিং এ্যালগরিদমটা কাজ করছে।

এই এ্যালগরিদমটা ছিল ব্যাকরাব নামে একটা সার্চ ইঞ্জিনে। এটা পেজ ও ব্রিন চালু করেছিলেন ১৯৯৬ সালে।

বানানের ভুলে ‘গুগোল‘ হয়ে গেল ‘গুগল’:

ব্যাকরাব তখন এতই জনপ্রিয় হয়েছিল যে প্রায়ই চাপ সামলাতে না পেরে স্ট্যামফোর্ডের ইন্টারনেট ক্র্যাশ করতো। এসময়ই এর দুই প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি ও সের্গেই ভাবলেন- কোম্পানিটার একটা নতুন নাম দরকার। নানা জনের আইডিয়া শোনার জন্য সবাই একটা ‘ব্রেনস্টর্মি’ সভায় বসলেন। সেই সভা এখন তথ্য-প্রযুক্তি যুগের কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছে। সেখানেই গুগল নামটির প্রস্তাব করা হয়।

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা বোর্ডে লেখা হলো সেই নাম। এটা ছিল Googol- গণিতশাস্ত্রের একটা শব্দ, যার অর্থ ১ এর পিঠে ১০০টা শূন্য। কিন্তু সেটা লিখতে গিয়ে বানানে একটা ভুল হয়ে গেল, হয়তো অনিচ্ছাকৃতভাবে অথবা কে জানে হয়তো ইচ্ছে করেই।

কারণ আসলে শব্দটা হচ্ছে googol- ‘জি ডবল ও জি ও এল’। যার মানে হচ্ছে একটা গাণিতিক সংখ্যা, একের পিঠে একশটা শূন্য। ‘জি ডবল ও জি এল ই’ নয়। কিন্তু সেটাই টিকে গেল। ১৯৯৭ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর গুগল ডটকম ডোমেইন নামটি রেজিস্টার করা হলো।

উদ্যোক্তা পেজ আর ব্রিন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ছেড়ে বাইরে বেরোলেন। তারা বন্ধু, পরিবার, আর কয়েকজন বিনিয়োগকারীর সাহায্য নিয়ে ১০ লাখ ডলার তুললেন এবং চালু করলেন তাদের কোম্পানি। এর অফিস ছিল তাদের এক বন্ধুর গ্যারাজে।

(তথ্যসূত্র ও ছবি ইন্টারনেট থেকে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here