লিচুর রাজধানীখ্যাত পাবনা সদর, ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়ায় দুই দশকের রেকর্ড ভেঙে এবার লিচুর বাম্পার ফলন হয়েছে। দেশের চাহিদা পূরণ করে রপ্তানি হচ্ছে বিদেশেও। সপ্তাহের শেষের দিকে পুরোদমে বাজারে উঠতে শুরু করেছে বোম্বাই, চায়নাসহ বিদেশি জাতের লিচু। শুরুর দিকে তীব্র দাবদাহে লিচুর কিছুটা ক্ষতি হলেও, কাঙ্ক্ষিত দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা।
জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাবনার লিচু দেখতে সুন্দর ও খেতে রসালো হওয়ায় জেলার চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে দেশ-বিদেশে। লিচুর বাজার এখন পাইকারিতে হাজারে ২৬০০-২৮০০ টাকা দর। তবে বোম্বাই, চায়নাসহ বিদেশি জাতের লিচু বাজারে আসলে দাম আরও বাড়বে। তখন দাম উঠতে পারে হাজারে ৪০০০-৪২০০ টাকা।
লিচুচাষীরা বলেন, শুরুর দিকে লিচুর ভালো মুকুল এসেছিল। তবে তীব্র দাবদাহের কারণে মুকুল ঝরে যায়। এরপর অনেকদিন অনাবৃষ্টি থাকার কারণে লিচুর আরও ক্ষতি হয়। তুলনামূলক লিচুর সাইজ এ কারণে অনেকটা ছোট হয়েছে। তবে বাজারে পর্যাপ্ত চাহিদা থাকায় দাম মোটামুটি ভালো।
বাজারে এসব লিচুর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে লিচুর অর্ডার আসছে। আশা করা যাচ্ছে, ভালো দাম পাওয়া যাবে।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘শুরু থেকে তীব্র গরমে লিচুর কিছুটা ক্ষতি হলেও পরবর্তীতে সেটা ঠিক হয়ে গেছে। এখন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কোন বাধা আসবে না। বিগত ২০ বছরের রেকর্ড ভেঙে পাবনায় লিচুর এবার বাম্পার ফলন হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, জেলায় ৯০ ভাগ গাছেই লিচু এসেছে। আর এবছর ৪ হাজার ৭২১ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার মেট্রিক টন। গতবছর ৩৬ হাজার মেট্রিক টন ফলন হয়েছিল।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা