করোনার সময় নিজে উদ্যোক্তা হয়ে পরিবার ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের কর্মসংস্থান করে তাদের পাশে দাঁড়াতে উদ্যোক্তা হয়ে উঠেন শারমিন আজম তৃণা।
জাতীয় বিশ্বিদ্যালয় থেকে সম্মান করেছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বেকারত্ব একটু হলেও দূর করতে সাহায্য করবেন। সে লক্ষ্যে ২০২০ সালের জুলাই থেকে তার পথচলা।
ছোট থেকেই তৃণা নিজের ডিজাইনে পোশাক পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। নিজের ডিজাইনের পোশাক বড় পর্যায়ে সর্বজনগ্রাহ্য করার সুপ্ত ইচ্ছাকে জাগিয়ে তুলেছেন বড় বোন বহ্নি মাহবুবা। তার অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় এতো দূর আসতে পেরেছেন তৃণা। সবথেকে সৌভাগ্যের বিষয় ছিল তার উদ্যোগে বাবা-মায়ের পূর্ণ সমর্থন যা চলার পথকে মসৃণ করেছে।
তৃণা অনেক ধরনের পণ্য করছেন। উল্লেখযোগ্য হলো প্যাচওয়ার্ক ব্লাউজ। এটা নিয়ে কাজ শুরু করে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন পণ্য সংযোজন করেছেন পরে। তবে বেশিরভাগ পোশাকেই থাকে প্যাচওয়ার্ক ও কাঁথাস্টিচের ছোঁয়া। যেমন প্যাচওয়ার্ক কাঁথাস্টিচ শাড়ি, ব্লাউজ, ক্রপ টপ, পাঞ্জাবি, ওয়েস্ট কোট, হারেম প্যান্ট, গামছা ব্লাউজ, স্কার্ফ, ওড়না, শ্রাগ ,শাল, কটি, বেবি ড্রেস, স্কার্ট, টপস, বেবি ফতুয়া এবং ডিজাইনার ব্লাউজ।
করোনাকালীন কাঁচামাল আমদানি ও পণ্য ক্রেতার নিকট পৌঁছানো ছিল বেশ চ্যালেঞ্জিং যা সঠিক পরিকল্পনায় মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছেন।
এই উদ্যোক্তার উদ্যোগে ৩৫ থেকে ৪০ জন কর্মী কাজ করছেন। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়বে।
সারা বাংলাদেশেই ‘তৃণ’ অর্থাৎ তৃণার উদ্যোগের পোশাক যাচ্ছে। তুলনামূলক ক্রেতার সংখ্যা বেশি রাজধানী ঢাকাতে। একুশবারের মতো ১১ টি দেশে পণ্য পৌঁছেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য জার্মানি, ইউ এস এ, কানাডা, চায়না, যুক্তরাজ্য, ভারত, জাপান এবং মালদ্বীপ।
তরণদের জন্য তার পরামর্শ: শুধু নিজের জন্য নয়, দেশের জন্যও ভাবতে হবে। যখন সমষ্টিগত উন্নয়নে নিজের অংশগ্রহণ থাকবে, তখন এমনিতেই সফল হবেন
মাসুমা শারমিন সুমি
উদ্যোক্তা বার্তা,