দেশীয় পণ্যের প্রতি ভালোবাসা থেকেই নিজের ডিজাইনে শাড়ি, সেলোয়ার কামিজসহ বিভিন্ন স্টাইলিস্ট ব্লাউজ, কুর্তি তৈরি করছেন উদ্যোক্তা রুবাইত ফাতিমা তনী।
২০১৫ সালে ফেসবুক পেজ ‘সানভিস’ দিয়েই তার উদ্যোক্তা জীবন শুরু। মাধ্যমেই যাত্রা শুরু। কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের মেয়ে তনী অনার্স পর্যন্ত সেখানেই লেখাপড়া করেছেন।
উদ্যোক্তা হবার অনুপ্রেরণার মূলে কে ছিল জানতে চাইলে রুবাইত ফাতিমা তনী উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, আমার বাবা ছিলেন অনুপ্রেরণার মূলে। তার মৃত্যুর পর পরিবারের হাল ধরার জন্যই আমার উদ্যোক্তা হওয়া।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে ফেসবুক পেজের মাধ্যমেই ‘সানভিস’-এর যাত্রা শুরু হলেও শুরু দিকে একদমই সাড়া পায়নি। ঐসময় এতোটা মানুষ অভ্যস্ত ছিলনা ফেইসবুকে কেনা কাটায়। কিন্তু আস্তে আস্তে বিক্রি বাড়তে থাকে।
‘আমার শাড়ির প্রতি ভালোবাসাটা অনেক বেশি, সেই সাথে সাথে দেশীয় পণ্যের প্রতি ভালোবাসার জন্যই এই সেক্টরে কাজ করা’-যোগ করেন তনী।
দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ইউরোপ-আমেরিকায় যাচ্ছে তনীর দেশীয় পোশাক। তিনি জানালেন, তার শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ডিজাইন ব্লাউজ, ডিজাইন কুর্তি এখন দেশের বাইরেও খুব বেশী জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। লন্ডন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইটালিতে যাচ্ছে তার পণ্য।
উদ্যোক্তা হবার পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আত্নীয় স্বজনের অনেকে শুরুর দিকে অনেক নেগেটিভ কথা করেছেন কিন্তু এগুলো নিয়ে আমি মোটেও ভাবিনি।’
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাইলে তনী বলেন, আমার মাত্র ১৫ হাজার টাকা নিয়ে যে যাত্রা শুরু করেছিলেন সেখানে এখন কর্মী ১০০ জনের ওপরে। আর মাসে এক কোটি টাকার ব্যবসা হচ্ছে। ব্যবসার প্রয়োজনেই এটা বাড়াতে হবে। আমি সবমসয়ই আমার স্বামীর কাছ থেকে সাপোর্ট পাচ্ছি। আমরা সামনের দিনগুলোর ব্যবসা কেমন হবে সেটার আলোচনাও করছি। ভবিষ্যতে একটা ফ্যাক্টরি করার স্বপ্ন দেখি, যেখানে কর্মীদের কর্মসংস্থান হবে। নিজেও কাজ করব।
তনী জানালেন, পরিশ্রম না করলে সফলতার দেখা পাওয়া মুশকিল। পরিশ্রমের করতে পারলে অবশ্যই সফলতা আসবে।
মাসুমা শারমিন সুমি
উদ্যোক্তা বার্তা