অর্থনীতি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) পাঁচ ক্যাটাগরিতে ময়মনসিংহ বিভাগের ৫ গুণী ও সংগ্রামী নারীকে শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
তারা হলেন ময়মনসিংহ জেলার মোছা. আমেনা বেগম চম্পা, সফল জননী ক্যাটাগরিতে জামালপুরের সুলতানা রাজিয়া, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা জয়পুরহাটের মোছা. মৌসুমি আক্তার ও শেরপুর জেলার আবিদা সুলতানা আল্পনা এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় তনু হিজড়া।
শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস; ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্যসহ বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসক, জনপ্রতিনিধি ও নারী নেতৃত্ব।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ‘আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে পুরুষের পাশাপাশি নারীকে এগিয়ে আসতে হবে। দেশের জনসংখ্যার অর্ধেকের বেশি নারীকে বাদ দিয়ে উন্নয়ন সম্ভব নয়। সরকার নারীর উন্নয়ন, ক্ষমতায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল।’
তিনি আরও বলেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা, যৌতুক ও বাল্য বিয়ে রোধে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সহিংসতা ও বাল্য বিয়ে রোধে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে।
মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল বলেন, নারীরা তথ্য প্রযুক্তিতে পিছিয়ে আছে। স্মার্ট সমাজ নির্মাণে নারীকে পুরুষের সমান জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। এ লক্ষ্যে আইসিটিতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা