নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দু’টি বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরি করছে এসএমই ফাউন্ডেশন: বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় জাতীয় কৌশলপত্র চূড়ান্ত পর্যায়ে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দু’টি বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরি করছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রাথমিকভাবে এই দু’টি সেন্টার স্থাপন করা হবে। সেই সাথে বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার পরিচালনায় একটি জাতীয় কৌশলপত্র তৈরির কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আজ এ বিষয়ে এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ মফিজুর রহমানের পরিচালনায় কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বলেন, সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার বাস্তবায়নে এসএমই খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের অবদান আরো সম্প্রসারিত করার কোন বিকল্প নেই। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন প্রজন্মকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রস্তুত করার আহবান বাস্তবায়নে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার বাস্তবায়নে নতুন উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করার আহবান জানান তিনি।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তায় এবং এসএমই নীতিমালা ২০১৯ বাস্তবায়নে এসএমই ফাউন্ডেশন উদ্যোক্তাদের সব ধরনের সহায়তা করবে। দেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশন সেন্টার অব এক্সেলেন্স হিসেবেও কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কর্মশালায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পরামর্শক এবং আন্তর্জাতিক ইনকিউবেশন সেন্টার বিশেষজ্ঞ মিস হুলিয়া তেতিক বিজনেস ইউকিউবেশন সেন্টার ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় তৈরি করা জাতীয় কৌশলপত্রের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বে দেশব্যাপী ইউকিউবেশন সেন্টারের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় শিল্প মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বিসিক, নাসিব, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বিটাক এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি জাতীয় সমন্বয় কমিটি গঠনের কথা বলা হয়েছে জাতীয় কৌশলপত্রে। এই কমিটি উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টারকে কার্যকর করতে জাতীয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। সেই নতুন উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন প্রাপ্তিতে সহায়তা এবং কর সুবিধা নিশ্চিত করা কর ব্যবস্থা সহজীকরণ, নগদ সহায়তা এবং সফল উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি দেয়ার কাজ করবে জাতীয় সমন্বয় কমিটি।
কর্মশালায় আরো জানানো হয়, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে এসএমইডিপি-২ প্রকল্পের কারিগরি সহায়তার আওতায় ঢাকায় এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় এবং চট্টগ্রামে চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের ব্যবস্থাপনায় এই দু’টি বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার পরিচালিত হবে। এসব বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে ব্যবসা শুরুর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরিতে পরামর্শ ও সহায়তার পাশাপাশি অফিস স্পেস ব্যবহার এবং কারিগরি সহায়তা পাবেন উদ্যোক্তারা।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা