উন্নয়ন মেলার দ্বিতীয় দিনে ক্রেতা দর্শনার্থীদের উপচে পরা ভিড়ে মুখোরিত ছিলো মেলা প্রাঙ্গণ। ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের এমন ভীড়ে খুশি উদ্যোক্তারা।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ নভেম্বর ২০১৯ তারিখ সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত ‘উন্নয়ন মেলা ২০১৯’ উদ্বোধন করেন।
মেলায় মোট ১৯৪টি স্টলে ১২৫ জন উদ্যোক্তা তাদের পণ্যের পসরা এবং বিভিন্ন সহযোগী সংস্থা তাদের সেবা দিয়ে ক্রেতা এবং দর্শনার্থীদের মন কাড়ছেন এবারের উন্নয়ন মেলায়।
অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে রয়েছে- পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ), অর্গানিক অনলাইন বাংলাদেশ, ইকো-সোশ্যাল ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও), সোসাইটি ফর ডেভলপমেন্ট ইনিসিয়েটিভস (এসডিআই), রুরাল রিকনষ্ট্রাকশন ফাউন্ডেশন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- তরঙ্গ, উত্তরণ, সালাম ক্যাটেরিং সার্ভিস, মমতা, পিসি লিংক আইটি পল্লী, সাগরিকা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা সহ আরোও অনেক প্রতিষ্ঠান।
গ্রাম শহরের দুরত্ব বিলীন হয়ে এ এক অন্যরকম মিলনমেলা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম যেন পুরো বাংলাদেশের গ্রামীণ পণ্য সামগ্রীর ঠাঁই মিলেছে রাজধানীর বুকে এবারের উন্নয়ন মেলায়।উন্নয়নের চিত্রই ফুটে উঠছে, উন্নয়নের কথায় বলছে মেলার প্রতিটি পণ্য প্রতিটি অংশে প্রতিটি আয়োজনে দেশীয় ঐতিহ্যের ছোঁয়ায়। শুক্রবার ছুটির দিন উন্নয়ন মেলার দ্বিতীয় দিন পিকেএসএফ এর আর্থিক পরিষেবা আওতাধীন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী এবং সেবা প্রদর্শনী দেখে মুগ্ধ এবং উচ্ছ্বসিত ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। মেলায় প্রদর্শিত পণ্যের মধ্যে রয়েছে বুটিক, ব্যাগ, পার্স, অর্নামেন্টস, পাটজাত পণ্য, হোম ডেকোর, কাসা-পিতলের সরঞ্জাম, ম্যাট-পাপোস, বাচ্চাদের খেলনা, নকশি কাঁথা, লুঙ্গি-গামছা, রুমাল, প্রাকৃতিক খাদ্যদ্রব্য, শাকসবজি, ফলমূল, আখ ও আখের গুড়, খেজুরের গুড়, হরেক রকমের পিঠাপুলি, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, সামুদ্রিক ইলিশ, চিংড়ি মাছ সহ শত শত হাজার পণ্য।
ক্রেতা চাহিদার কথা জিজ্ঞেস করতে উদ্যোক্তা বার্তাকে সোসাইটি ফর ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভ (এসডিআই) এর পক্ষ্যে এসিস্টেন্ট ডিরেক্টর, সোহেলি নাজনীন হক জানান, এবারের মেলায় বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছেন। বিশেষ করে আজ মেলার দ্বিতীয় দিন এবং ছুটির দিন বলে ক্রেতা দর্শনার্থীদের ভীড় আমাদের মুগ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছে। ভেজাল মুক্ত বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজির প্রতি বেশি আগ্রহী ক্রেতারা। আরআরএফ এর স্টল ভিজিট করে জানা যায়- তাদের প্রতিষ্ঠানে তৈরি নানা পণ্যের মধ্যে “বাবুই পাখির বাসা” ক্রেতাদের ভীষণ নজর কেড়েছে। যেখানে তরুণ প্রজন্মের অনেকেই ভীষণ আগ্রহ দেখিয়েছে, কারণ তারা অনেকেই বাবুই পাখি দেখেছে কিন্তু বাবুই পাখির বাসা কখনো দেখেনি।
ক্রেতাদের জিজ্ঞেস করে জানা গেল, উন্নয়ন মেলায় তারা এতো ধরণের পণ্য পাবে এবং সুলভমূল্যে তা ভাবেননি। বিশেষ করে প্রাকৃতিক এবং নির্ভেজাল পণ্য গুলো তাদের কাছে বেশী আকর্ষনীয় বলেও জানান ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা। শিশুরাও বেশ আনন্দ পাচ্ছে মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে, একুরিয়ামে থাকা নানান প্রজাতির মাছ দেখে।
পিকেএসএফের বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শনী ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করা হয়। অন্যান্য কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রতিদিন থাকছে গুরুত্বপূর্ণ সেমিনারএবং প্রতি সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
১৪ই নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলাটি সর্বসাধারনের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা