ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রমোশনে উদ্যোক্তাদের করণীয়

0

ব্যবসা আজ হাতের মুঠোয়। শুরুতেই বিগ বাজেটে কিংবা একটি শো রুম চালুর মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করতে পারে না তবে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসা করছেন অনেকেই। ফেসবুকের মাধ্যমে বিজনেস করাকে এফ কমার্স বলা হয়ে থাকে। নিজের প্রোডাক্ট সাজানো, শপ খোলা, প্রোডাক্টের ছবি বা ভিডিও পাবলিশ করা, এড দেওয়া অর্থাৎ মার্কেটিং করা ইত্যাদি সব কিছুই করতে পারবেন। এছাড়াও সহজেই কাস্টোমারের সাথে যোগাযোগ বা কানেক্টেড থাকতে পারবেন এফ কমার্সের মাধ্যমে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে উদ্যোক্তারা তাদের কর্মকান্ডকে সবার সামনে পৌঁছে দিতে পারে বিভিন্ন প্রশ্নের আলোকে তুলে ধরছি।

এফ কমার্স ভিত্তিক ব্যবসায় পরিচালনা করতে ফেসবুক মার্কেটিং এর গুরুত্ব কতটুকু?

ফেসবুক মার্কেটিং একটি ব্যবসার উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপায় হিসাবে পরিচিত। ফেসবুক একটি সামাজিক মাধ্যম যা আপনার ব্যবসার সামগ্রীক প্রচার এবং লক্ষ্যবিন্দুগুলি পূরণ করার জন্য একটি বিশ্বস্ত মাধ্যম। ফেসবুক মার্কেটিং দ্বারা আপনি স্পষ্টতা বা উন্নয়নের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারেন এবং স্পষ্টতা বা উন্নয়নের পরিবর্তনগুলি ট্র্যাক করতে পারেন।

ফেসবুক মার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালানো দ্বারা আপনি আপনার পণ্য বা সেবা প্রচার করতে পারেন, লক্ষ নির্দিষ্ট করেন এবং আপনার লক্ষ্যগুলি পূরণ করতে সাহায্য করতে পারেন। আপনি আপনার কাস্টমারদের নতুন পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে জানাতে পারেন এবং তাদের আগ্রহ জানতে পারেন যা আপনার ব্যবসার উন্নয়নে সাহায্য করবে।

ফেসবুক মার্কেটিং ক্যাম্পেইন হলো একটি বিজ্ঞাপন পরিচালনা পদ্ধতি, যা ব্যবসা প্রচার এবং বিপণনের লক্ষ্যে ফেসবুক ব্যবহার করে। একটি ভাল পরিচালিত ফেসবুক মার্কেটিং ক্যাম্পেইন ব্যবসা স্থাপনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, যেখানে নীচ উপস্থাপন, সর্বনিম্ন বাজেট এবং লক্ষ্য সম্পর্কে কাজ করা হয়।

এফ কমার্সের সঠিক ক্লায়েন্ট/ অডিয়েন্স নির্বাচন:

ধরুন আপনার একটা ফেসবুক পেজ/শপ অথবা ইকমার্স শপ/ওয়েবসাইট আছে । আপনি সেখানে গ্যাজেট বা কসমেটিক্স অথবা বিউটি প্রোডাক্ট বিক্রি করেন । তাহলে আপনার প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন ফেসবুকে দিবেন বলে ঠিক করেছেন ।
এখন ধরে নিচ্ছি আপনার জুয়েলারি শপ থেকে কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন । তাহলে এটার সাধারণত ভোক্তা কারা হবে? নারীরা, তাইতো? এরপর তাদের আনুমানিক বয়স কত থেকে কত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি সেটা নিশ্চই আপনি জানেন ।

এভাবেই একদম ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিভিন্ন মেট্রিক থেকে আপনার ব্যবসার জন্য অডিয়েন্স নির্বাচন করা যেতে পারে । সেটা যেকোন ব্যবসা হতে পারে ।
তাহলে আপনার ব্যবসার সেলস বাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে যেহেতু আপনি সব ঠিকঠাক করতে পারলে সঠিক অডিয়েন্সের নিকট পৌঁছে যাচ্ছেন। তাই ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রোপার নলেজ থাকা প্রয়োজন।

ডিজিটাল মার্কেটিং কি?

ডিজিটাল মার্কেটিং মানে অনলাইনে পন্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞাপন প্রচার করাকেই বুঝায়। এখন সেটা হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে, হতে পারে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর মাধ্যমে, হতে পারে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে, আবার হতে পারে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে।আবার ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া যেমন, টিভি, রেডিও ইত্যাদির মাধ্যমে পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করাটাও এক ধরণের ডিজিটাল মার্কেটিং। এছাড়া মোবাইলে ইন্সট্যান্ট মেসেজিং, ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড, মোবাইল এপ্লিকেশনের মাধ্যমে পণ্যের প্রচারণাকেও ডিজিটাল মার্কেটিং বলা যেতে পারে। আধুনিক বিশ্বে নিজেকে ও নিজের ব্যবসার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে
হলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোনো বিকল্প নেই।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেকগুলো ধাপ আছে। যেগুলো প্রয়োগ করে মূলত ডিজিটাল মার্কেটাররা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল মার্কেটিং করে থাকেন।

#এসইও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
#এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং
#কন্টেন্ট মার্কেটিং
#সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা এসএমএম
#এফিলিয়েট মার্কেটিং
#ইমেইল মার্কেটিং
#ই-কমার্স প্রোডাক্ট মার্কেটিং
#সিপিএ মার্কেটিং

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল প্রোমোশন কিভাবে করা যায়?

বিজনেসের সঠিক মার্কেটিং করতে হলে বিজনেস ম্যানেজার ব্যবহার করতে হবে ।
আর এডভান্স মার্কেটিং করতে হলে ক্যাম্পেইন করতে হবে । উদাহরণ স্বরূপ বলি, আপনি মনে করুন একটা এড একই ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ সংখ্যকবার দেখাতে চাচ্ছেন ।
এখন এটা কন্ট্রোল করা এবং ডেটা এনালাইসিস করে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে কিন্তু ক্যাম্পেইন করতে হবে । মার্কেটিং করে যদি আপনার কোন রিটার্ন না আসে তাহলে সমস্ত অর্থই পানিতে যাবে ।

নিম্নোক্ত কাজ গুলো যদি আপনার ব্যবসার জন্য করতে চান তাহলে অবশ্যই ফেসবুক এড তথা ফেসবুক মার্কেটিং কে বেছে নিতে হবে আপনাকে ।

এফ-কমার্স (F-commerce) সেলস: এফ-কমার্স বা ফেসবুক পেজের মাধ্যমে ব্যবসা করতে হলে সঠিক অডিয়েন্সের কাছে ব্যবসার প্রোমোট এবং সেলস বাড়াতে হবে । এটি ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে করা সম্ভব ।

ই-কমার্স (E-commerce) সেলসঃ ইকমার্সের বিক্রি বৃদ্ধি করতে ও ব্যবসার প্রোমোট করতে ফেসবুক মার্কেটিং ভাল ভুমিকা রাখে বাংলাদেশের মার্কেটে ।

ম্যাসেজ ক্যাম্পেইনঃ আপনার যদি এফ কমার্স ব্যবসা থেকে থাকে । এবং আপনি ম্যাসেজ ক্যাম্পেইন, ম্যাসেঞ্জার মার্কেটিং করতে পারেন ।

অ্যাপ ইন্সটলঃ আপনার কোন অ্যাপ থাকলে এবং সেটার প্রোমোট করতে চাইলে ।

ওয়েবসাইট ট্রাফিকঃ আপনার কোন বিজনেস ওয়েবসাইট অথবা সার্ভিস ওয়েবসাইট থাকলে সেটার প্রোমোশনের জন্যেও এড ক্যাম্পেইন করতে হবে ।

শপ অর্ডারঃ ফেসবুক শপে আপনার কোন বিজনেস থাকলে সেটার প্রোমোশনের জন্য ।

ভিডিও ভিউ ও রিটার্গেটঃ আপনার কোন ভিডিও প্রোমোট করতে চাইলে এবং সেটার মাধ্যমে পরবর্তীতে রিটার্গেট করতে চাইলে ।

ওয়েবসাইট রিটার্গেটঃ ওয়েব সাইটে ভিজিটর নিয়ে এবং ওই ভিজিটরদেরকে আবার রিটার্গেট করার জন্য ।

ব্র্যান্ডিংঃ আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে আপনার ব্যবসাকে বড় করতে চান, প্রোপার ব্র্যান্ডিং করতে চান তাহলে ফেসবুক এড ক্যাম্পেইন অবশ্যই করতে হবে ।

ফেসবুক মার্কেটিং কত প্রকার?

ফেসবুক মার্কেটিং প্রধানত দুই প্রকার । অর্গানিক প্রমোশন ও পেইড প্রমোশন । ফেসবুকে আপনার বিজনেস প্রমোশন করার জন্য যদি কোন টাকা খরচ করতে না হয় । ফ্রিতেই করতে পারেন তাহলে সেটা হচ্ছে অর্গানিক ।

পেইড প্রমোশন বা এড কি সেটা তো বুঝতে পারছেন । আপনাকে যেটার জন্য টাকা খরচ করতে হবে । এটা ফেসবুকের মূল ব্যবসা ও সবাই নিজেদের ব্যবসার প্রমোশন পেইড এডের মাধ্যমেই করে থাকে কারণ এটাই স্ট্যান্ডার্ড যেকোন বিজনেসের জন্য ।

এটার জন্য আপনাকে প্রতিনিয়ত এড দিতে হবে ফেসবুকে । এই কাজটি করে থাকেন একজন ফেসবুক এড এক্সপার্ট । কোন একটা পণ্যের মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে কাস্টোমারকে যথাযথ ভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে অর্থাৎ উক্ত প্রোডাক্ট এর ভালোমন্দ জানাতে হবে । এভাবে একটি ফানেল তৈরী করে মার্কেটিং করলে ভাল রেজাল্ট আসবে ।
এজন্য সঠিকভাবে ব্যবসার মার্কেটিং করতে আপনি ফেসবুক মার্কেটিংকে বেছে নিতে পারেন ।
একেক ব্যবসার জন্য একেক রকম উপায় অবলম্বন করতে হয় । আপনার ব্যবসার জন্য মেথড নির্বাচন করতে পারলে, সঠিকভাবে এড সেটাপ ও স্ট্র্যাটেজি ফলো করতে পারলে ভাল ফলাফল পাওয়া সম্ভব ।

ব্যবসায় ডিজিটাল মার্কেটিং কেন প্রয়োজন?

বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং একটি অপরিহার্য অংশ। কারণ মানুষ এখন যেকোন পণ্য ক্রয় করার আগে ইন্টারনেটে ওই পন্য সম্পর্কে জেনে বুঝে তারপর ক্রয় করে। তাছাড়া মানুষ এখন দোকানে ঘুরে ঘুরে না কিনে, অনলাইন থেকেই বেশিরভাগ কেনা কাটা করে থাকে। তাই আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হন,তাহলে আপনার উচিত ডিজিটাল মার্কেটিং
এর মাধ্যমে নিজের ব্যবসাকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া।

সমগ্র বিশ্বে মোট প্রায় ২ বিলিয়ন মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে। আর এই সংখ্যাটি নিয়মিতভাবে বেড়ে চলেছে। মানুষ যত বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করবে তত বেশি মানুষের সামনে আপনি আপনার পণ্যের মার্কেটিং করতে পারবেন।
বর্তমান বিশ্বে মোট প্রায় ৫.১১ বিলিয়ন মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। আর এই সংখ্যা খুবই দ্রুত গতির সাথে বেড়ে চলেছে। এখন অনেক মানুষ আছে যারা একাধিক মোবাইল ব্যবহার করেন তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক রাখার জন্যে।
আর এই মোবাইল ফোন হচ্ছে ক্রেতার তথ্য কালেকশনের অন্যতম মাধ্যম। কারণ প্রায় সকল মোবাইল ব্যবহারকারীই ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত। তাই এই ব্যবহারকারীর সংখ্যা যত বাড়বে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রয়োজনীয়তাও বাড়বে।

একটা স্ট্যাটিসটিক্সের মাধ্যমে ইউজার সার্ভে রিপোর্ট উল্লেখ করেছে যে, প্রায় ৮৪% বিক্রেতা, মার্কেটার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে ক্রেতার তথ্য সংগ্রহ করার জন্যে। এছাড়া আরো একটি সার্ভে রেজাল্ট দেখিয়েছে যে, সারা বিশ্বে ৫৫% মানুষ যেকোন পন্য ক্রয়ের জন্যে সামাজিক মাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। মানে হচ্ছে, তারা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তাদের পছন্দের পণ্য সম্পর্কে তথ্য এবং রিভিউ জানতে পারে। আর ক্রেতা যার প্রেজেন্টেশন ও পণ্যকে পছন্দ করবে তার কাছ থেকে অনলাইনের মাধ্যমেই ক্রয় করে ফেলে।

৪৩% ই-কমার্স ক্রেতা গুগলে সার্চ করে তাদের পছন্দের ই-কমার্স ওয়েবসাইটে আসে। বিশ্বে প্রায় ৫১% ক্রেতা তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা অনলাইন থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে করে থাকে। এই সংখ্যাটিও দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। ৭০% ক্রেতা যেকোন পণ্য কেনার আগে ইন্টার্নেটে সার্চ দিয়ে সেই পণ্য সম্পর্কে যাচাই বাছাই করেন। পণ্যটি পচ্ছন্দ হলে সাথে
সাথেই ঘরে বসেই অনলাইনে অর্ডার করে ফেলেন। আরো একটি মজার ব্যাপার হচ্ছে, ৮২% ক্রেতা মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই বিক্রেতার সাথে তাদের লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে কথা বলতে
চান।

তাই যদি এই ডিজিটাল যুগে, ডিজিটাল মার্কেটে টিকে থাকতে চান, তাহলে আপনার এখনই ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে ভাবা উচিত। কারণ আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী বসে নেই, সে তার ব্যবসাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করছেন। প্রাণ,সানসিল্ক, ইগলুর মতো বড় বড় কোম্পানীগুলোও কিন্তু বেশ তোড়জোড়ের সাথেই বর্তমানে ডিজিটাল দুনিয়াতে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং প্লার্টফমগুলো কি কি ?

ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্মগুলো হল ওয়েবসাইট, ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, ইমেল মার্কেটিং সফটওয়্যার, এসইও টুলস,পেই-পার ক্লিক প্ল্যাটফর্ম, ভিডিও মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম এবং অন্যান্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। এই প্লাটফর্মগুলো ব্যবহার করে ব্র্যান্ড বা প্রতিষ্ঠান তাদের কাজের বিপণন করে থাকে। কিছু ডিজিটাল মার্কেটিং প্লাটফর্ম সম্প্রতি খুব জনপ্রিয় এবং ব্যবহার করা হয়, সেগুলো হল: সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো যেমন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, লিংকডইন, ইউটিউব ইত্যাদি। ওয়েবসাইট এবং ব্লগ প্ল্যাটফর্মগুলো যেমন ওয়ার্ডপ্রেস, জুমলা, স্কোয়ারস্পেস, সিকুর সার্ভ ইত্যাদি। ইমেল মার্কেটিং প্ল্যাটফর্মগুলো যেমন মেলচিম্প ইত্যাদি।

ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ কি?

বর্তমান বিশ্বের বাজার ব্যবস্থা যেভাবে ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রিতে রূপ নিচ্ছে। সেদিন আর বেশি দূরে নয়,যখন মানুষ আর দোকানে কিংবা বাজারে গিয়ে পণ্য কেনা বন্ধ করে দিবে। তারা সবকিছু অনলাইনেই কিনে নিবে। কারণ ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে জীবনযাত্রা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।

আর মানুষ সময় নষ্ট করে বাজারে গিয়ে পণ্য যাচাই বাছাই করার থেকে অনলাইনে যেকোন পণ্য সম্পর্কে সার্চ করে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা জেনে নিতে পারে। আর পছন্দ হলে সেই পণ্য একটি বিশ্বাসযোগ্য বিক্রেতার কাছ থেকে অনলাইনের মাধ্যমেই কিনে নিতে পারে।

আর এই অনলাইন বাজার ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ওপর নির্ভরশীল।
আপনি যদি এখনই নিজেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ দক্ষ করে না তুলতে পারেন, তাহলে আপনি এই বাজার ব্যবস্থায় টিকে থাকতে পারবেন না। কারণ আপনার পণ্য সম্পর্কে যদি মানুষ অনলাইনে জানতেই না পারে তাহলে কোন ক্রেতাই আপনার পণ্য কিনবে না। তাই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের জন্য ডিজিটাল প্রমোশন খুবই প্রয়োজন।

সেতু ইসরাত, উদ্যোক্তা বার্তা 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here