তানজিলা জলিল অমি পড়াশোনা করেছেন হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল থেকে এম বি বি এস। ছোট বেলা থেকেই ক্রাফটিং এর প্রতি ঝোঁক ছিল। সেই আগ্রহ থেকেই মেডিকেলে পড়ার সময় টুকিটাকি ক্রাফটিং করতেন। মেডিকেলের পড়ার ফাঁকে একটা কিছু করতে ইচ্ছে করতো। তাই ক্রাফটিং এ আবার মন দিলেন। ক্রাফটিং এর মেটেরিয়াল খুঁজতে গিয়ে এক সময় বুঝতে পারলেন আমাদের দেশে ক্রাফটিং এর মেটেরিয়াল এর অপ্রতুলতা। আর সে জন্য নিজেই দেশের বাইরে থেকে জিনিসপত্র এনে ৫০০০ টাকার পুঁজি নিয়ে শুরু করলেন অনলাইন প্রতিষ্ঠান “এটি ক্রাফটস”। যেখানে তিনি মেটেরিয়াল বিক্রি করতেন।
মেটেরিয়াল বেচাকেনার মাঝে আবার পুরনো শখ জেগে ওঠে এই উদ্যোক্তার । “এটি ক্রাফটস” বন্ধ করে দিয়ে শুরু করেন নিজের হাতে তৈরি গয়না নিয়ে পেইজ “কন্ঠীর বাক্স”। “এটি ক্রাফট” এর মেটেরিয়াল দিয়েই “কন্ঠীর বাক্সের” জুয়েলারি বানান অমি।
প্রথম লক্ষ্য ছিল হাতের কাজের গয়নাকে শুধু বাঙালি উৎসবের অনুষঙ্গ হিসেবে নয়, সব উৎসবেই যেন ব্যবহার করা যায় এমন কিছু বানানো, এক্সক্লুসিভ কিছু। এক্সক্লুসিভ বললে যেন শুধু ইন্ডিয়ান/পাকিস্তানি পণ্যের কথা মাথায় না আসে। এখন তানজিলা জলিল অমি টুকটাক যাই করছেন সবাই খুব পছন্দ করছে। সবাই বুঝতে পেরেছে হাতের কাজের গয়নাও এক্সক্লুসিভ হতে পারে।
“কন্ঠীর বাক্সের” জুয়েলারি পণ্যের সর্বনিন্ম মূল্য ৩০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ মূল্য মেটেরিয়াল এবং ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে।
অমি নিজেই সবটা করেছেন, কারো কাছে কোন সহযোগিতা পান নাই। নিজের মনের জোর এবং বুদ্ধিমত্তা কে কাজে লাগিয়ে হয়েছেন সফল তরুণ নারী উদ্যোক্তা।
যেহেতু অমি কারও কাছ থেকে শেখেননি তাই প্রথমে অনেক ভয়ে ছিল। কিন্তু সবাই পছন্দ করায় উৎসাহ বাড়ছে দিন দিন।
ভবিষ্যতে ইচ্ছে আছে অনলাইন এর সাথে সাথে অফলাইনেও “কন্ঠীর বাক্সকে” নিয়ে যাওয়ার; এমনটাই বলছিলেন অমি।
শুরুর ৫০০০ টাকা পুঁজি আজ ৪০০০০০ টাকায় পরিণত হয়েছে।
খাদিজা খাতুন স্বপ্না