বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) পদ্মাসেতু কেন্দ্রিক দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাসমূহে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের লক্ষ্যে একটি টেকসই শিল্পায়নের উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার জেলা প্রশাসকগণ সংশ্লিষ্ট অঞ্চলভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করে বিসিক বরাবর প্রেরণ করেন। এ উপলক্ষ্যে ০৬ ডিসেম্বর ২০২২ (মঙ্গলবার), সকাল ০৯:৩০ ঘটিকা বিসিক বোর্ড রুম (২য় তলা), বিসিক ভবন, ৩৯৮ মেয়র আনিসুল হক সড়ক, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকায় একটি কর্মশালা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জনাব জাকিয়া সুলতানা, সম্মানিত সচিব, শিল্প মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিক চেয়ারম্যান জনাব মুহঃ মাহবুবর রহমান (গ্রেড-১)। কর্মশালায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ ও এর আওতাধিন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার প্রতিনিধিগণ, বিসিক আঞ্চলিক কার্যালয়, ঢাকা ও খুলনার আঞ্চলিক পরিচালক, বিসিক প্রধান কার্যালয়ের শাখা প্রধানগণ ও দক্ষিণবঙ্গের ২১টি জেলার বিসিক জেলা কার্যালয়ের প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালার শুরুতে বিসিক চেয়ারম্যান মহোদয় বিসিকের পক্ষ হতে মাননীয় শিল্প সচিব মহোদয়কে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন শেষে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করে কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের নির্দেশ প্রদান করেন। সভাপতির নির্দেশক্রমে জনাব অখিল রঞ্জন তরফদার, মহাব্যবস্থাপক, বিপণন ও জনাব ড. মোঃ ফরহাদ আহম্মেদ, উপমহাব্যবস্থাপক, পরিকল্পনা শাখা, বিসিক, ঢাকা কর্মশালার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্প সচিব মহোদয় বলেন, বিসিক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের হাতে গড়া একটি প্রতিষ্ঠান। পদ্মাসেতু কেন্দ্রিক দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাসমূহে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের লক্ষ্যে বিসিকের এই কর্মশালা অত্যান্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যেসব অঞ্চলে শিল্পের যে সমস্ত কাঁচামাল সহজলভ্য আমি মনে করি সেই সব অঞ্চলে সেই ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারলেই কেবল দেশের উন্নতি সম্ভব।
এছাড়াও শিল্প উদ্যোক্তাদেরকে সঠিক ঋণ সহায়তার মাধ্যমেও শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তলার ক্ষেত্রে বিসিক সহযোগিতা প্রদান করতে পারে। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের উন্নতিকল্পে বিসিক-কে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ফিজিবিলিটি স্টাডির বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা প্রয়োজন। কৃষি জমির ক্ষতিসাধন করে শিল্প কারখানা নির্মাণের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকার পরামর্শ প্রদান করেন। বিসিকের ১৫টি দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রের পাশাপাশি সম্ভব হলে প্রতিটি জেলায় একটি করে দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, যে কোন পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিকল্পনাটি দেশের জিডিপিতে কি পরিমাণ অবদান রাখতে পারবে; এ বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। পরিশেষে তিনি বলেন, যদি আমরা দেশ প্রেম এবং যার যার অবস্থান থেকে কাজ করি তাহলে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিষণ-২০৪১ সফল করা সম্ভব হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বিসিক চেয়ারম্যান মহোদয়, পদ্মাসেতু কেন্দ্রিক দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাসমূহে পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের লক্ষ্যে যে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তার একটি খসড়া প্রস্তাব কর্মশালা শেষে সচিব, শিল্পমন্ত্রণালয়ের নিকট উপস্থাপন করা হবে এবং এ বিষয়ে মাননীয় সচিব মহোদয়ের সহযোগিত কামনা করেন।
ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা