চায়না গুয়াংডং মেলায় উদ্যোক্তা- হাসিনা মুক্তা

গত ২৫, ২৬, ২৭, ২৮ অক্টোবর ২০১৮ চীনের গুয়াংডং শহরে গুয়াংডং মর্ডান ইন্টারন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে  “2018 Guangdong 21st Century Maritime Silk Road International Expo” অনুষ্ঠিত হয়। এ মেলায় ৫৭ টি দেশের মোট ১৭৩২টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করে। আমার ভাবতে খুভ ভালো লাগে এর মধ্যে আমার প্রতিষ্ঠানটিও ছিল। এসএমই ফাউন্ডেশন ৮ জন এসএমই উদ্যোক্তাকে এ মেলায় অংশগ্রহনের ক্ষেত্রে সহায়তা করে। তার মধ্যে নতুনত্ব বুটিকস ও হস্তশিল্পের স্বত্বাধিকারী হিসেবে আমি বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করি।

চায়না গুয়াংডং মেলায় বাংলাদেশী পণ্যের স্টল

এছাড়া বাংলাদেশের আরো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৫০ জন অংশগ্রহণ করে। আমরা ৫০ জনের একটা টিম সফলতার সাথে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে দেশে ফিরে আসি। এই পুরো সফর কাহিনী জুড়ে নানা গল্প অভিজ্ঞতা। এসএমই ফাউন্ডেশন থেকে আমাদের টিমলিডার ছিলেন শাহীন আনোয়ার স্যার, যিনি এয়ারপোর্ট থেকে মেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত আমাদের সুবিধা-অসুবিধা সার্বিক সব বিষয়ে খেয়াল রেখেছেন এবং আমাদের সাথে ছিলেন।

চাইনিজ ক্রেতার সাথে উদ্যোক্তা হাসিনা মুক্তা

২৪-১০-২০১৮ তে আমরা চায়নার গুয়াংডং এ পৌঁছায়। হোটেল ফ্লোরাল এ আমরা পুরো টিম ছিলাম। হোটেল থেকে মেলাতে যাওয়া আসার জন্য আমাদের জন্য গাড়ীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল। ২৫-১০-১৮ এ মেলা প্রাঙ্গনে নামতেই দেখতে পেলাম চোখ ঝলসানো সব আয়োজন। এতো এতো পতাকার মাঝে বাংলাদেশের পতাকাটাকে যেন মনে হয়েছিলো সেরা।

চায়না গুয়াংডং মেলায় উদ্যোক্তা হাসিনা মুক্তা ও এসএমই ফাউন্ডেশনের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম শাহীন আনোয়ার

স্টল গোছানোর কাজ শুরু হতে না হতেই কাস্টমার এসে হাজির। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মেলায় প্রথম বিক্রি আমার। আমি আর প্রীতি মহাখুশী। কয়েকজন এসে এর জন্য ট্রিট দাবী করলো। বাংলাদেশের পণ্য চায়নাতে বিক্রি করা এটা ছিলো আমার প্রথম ভালোলাগা, অভিজ্ঞতা। দিন বাড়ে, মেলার ভীড় বাড়তে থাকে। চাইনিজদের মুখে বাংলাদেশের পণ্য প্রশংসা আমাদের আরো উৎসাহিত করে। মেলা শেষে সবাই দলবেঁধে হোস্টেলে যাওয়া, ঘুরতে যাওয়া আবার পরদিন মেলায় আসা এভাবে চোখের পলকে সময়গুলো কেটে যায়।

চলবে…

 

হাসিনা মুক্তা
সফল নারী উদ্যোক্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here