দেশে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প থেকে বছরে আয় হয় ৮০০ মিলিয়ন বা ৮০ কোটি ডলারের বেশি। সেখানে সরকারের রাজস্ব আয় হয় প্রায় ১০ থেকে ১২ কোটি ডলার। একই সঙ্গে এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে ৩০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ জড়িত। আর পরোক্ষভাবে প্রায় এক লাখ ৫০ হাজার মানুষ এর ওপর নির্ভরশীল।
বুধবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর সোনারগাঁও প্যান প্যাসিফিক হোটেলে এক কর্মশালায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এসব তথ্য তুলে ধরেন। শিল্প মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএমও) যৌথভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাকিয়া সুলতানা বলেন, জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় খাত। বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম প্রধান জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকারী দেশ।
বাংলাদেশে ১০৮টি জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ ইয়ার্ড রয়েছে, যা চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অবস্থিত। এই ইয়ার্ডগুলোর মধ্যে কার্যরত রয়েছে ৫০টি। এদের বার্ষিক জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ সক্ষমতা এক কোটি মেট্রিক টনের বেশি। বাংলাদেশের বার্ষিক জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের গড় প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৪ শতাংশ।
একই সঙ্গে দেশের মোট আয়রন (লোহা) চাহিদার ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ আসে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প থেকে। এ শিল্পের ওপর ৩০০টিরও অধিক রি-রোলিং স্টিল মিল নির্ভরশীল। ফলে দেশের সামগ্রিক টেকসই উন্নয়নে এই শিল্প ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার-ভেন্ডসেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমা কিমিনোরি, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পে অর্থায়নের জন্য তাঁদের প্রতি আহ্বান জানান জাকিয়া সুলতানা।
ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা