বড় হয়েছেন বানিয়াছল গ্রামের নরসিংদীতে। নরসিংদী ব্রাম্মন্দী কে,কে এম সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯২ সালে এস এস সি পাশ করেন, ১৯৯৪ সালে নরসিংদী সরকারী কলেজ থেকে এইচ এসসি পাশ করেন। এরপর নরসিংদী ব্রাম্মন্দী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার বিয়ে দেন হয়।
বিয়ের পর সংসারী হয়ে পরেন স্বামীর সাথে পরামর্শ করে সমাজে সেবামূলক কাজ করতে থাকেন ১৯৯৮ সাল থেকে। এলাকার কিছু সচেতন শিক্ষিত যুব ও যুব নারীদের নিয়ে গ্রামীন উন্নয়ন কর্ম সংস্থান (গ্রাউক) নামে একটি অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন শুর করেন। উক্ত সংগঠনের মাধ্যমে এলাকার হত দরিদ্র পরিবারের বেকার যুবক যুবতীদের, সেলাই প্রশিক্ষণ, ব্লক বাটিক ও স্ক্রিন প্রিন্ট প্রশিক্ষণ প্রদান করে তাদের কর্মমুখী করে তুলেন।
এসকল কাজের পাশাপাশি লেখাপড়ার ইচ্ছা জাগে তার। তাই ২০১০ সালে উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি, এ পাশ করেন এরপর নরসিংদী ল’কলেজ থেকে ২০১৭ সালে এল এলবি পাশ করেন।
বর্তমানে উক্ত সংগঠনের মাধ্যমে আর্থসামাজিক ও সামাজিক কর্মকান্ড চলমান- নারী নির্যাতন ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ, শিশু ও মানব পাচার প্রতিরোধ কার্যক্রম, মাদক বিরোধী কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের সহায়তা প্রদান, অসহায় কারাবন্ধীদের আইনি সহায়তা প্রদান কার্যক্রমসহ সরকারের উন্নয়ন মুখী কর্মকান্ডে সহযোগীতা প্রদান করছেন। উক্ত সংগঠনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করে সহস্রাধিক আত্মকর্মী তৈরি করেছি, তারা এখন নিজেরা স্বাবলম্বী।
পিছিয়ে পড়া নারীর উন্নয়নে তিনি সবসময় এগিয়ে এসেছেন তার কার্যক্রমের মাধ্যমে। এছাড়াও বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের উন্নয়নে তিনি অবদান রেখে চলেছেন।
আর তাই নেতৃত্ব বিকাশ,নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক কর্মকান্ডে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের জন্য তাকে দেয়া হয় জাতীয় যুব পুরস্কার ২০২১।
মাসুমা সুমি,
উদ্যোক্তা বার্তা।