বাগেরহাটের ছেলে আল ইকরাম পড়াশুনার সুবাদে ঢাকায় থাকেন। বর্তমানে ঢাকা আলিয়া’তে কামিল (এম এ) তে পড়াশুনা করছেন।পরিবারে বড় হওয়ায় ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল নিজেও ব্যবসা করবেন। প্রথমে ভারতে কাপড়ের ব্যবসা ছিল আল ইকরামের কিন্তু করোনাকালীন সমস্যা হওয়ার কারণে বড় ধরনের ধাক্কা খান তিনি কিন্তু ধৈর্য্য এবং সাহস নিয়ে নতুন করে শুরু করেন রেডিমেড গার্মেন্টস শিল্পের কাজ।
বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার নরেন্দপুর গ্রামের এস, এম মোসলেম এর ছেলে আল ইকরাম।ছোট বেলায় গ্রামে বড় হয়েছেন।বাগেরহাট আলিয়া(কামিল) মাদ্রাসা থেকে এইচ,এস,সি (আলিম) পাশ করেন। পরে হযরত শাহ আলী কামিল মাদ্রাসা থেকে ফাজিল (ডিগ্রি) শেষ করেন এবং সরকারি বাংলা কলেজ থেকে (রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে) অনার্স শেষ করেন। তার পাশাপাশি বাংলাদেশ ইসলামি ইউনিভার্সিটি থেকে ইসলামি স্টাডিজ অনার্স শেষ করেন। বর্তমানে ঢাকা আলিয়াতে কামিল (এম এ) অধ্যায়নরত আছেন এবং সরকারি বাংলা কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে অধ্যায়নরত আছেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে মাত্র ৫০০০ টাকা দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে প্রায় ৪০ লাখ টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে তিনি তার উদ্যোগ দাঁড় করান। আল ইকরামের একটি ছোট ফ্যাক্টরি আছে, সেখানে কর্মরত আছেন প্রায় ২৫ জন কর্মী। এছাড়াও অফিস এবং শোরুমে রয়েছে আরো ৪ জন কর্মী। প্রায় ২৯/৩০ জন কর্মীর সহযোগীতায় আল ইকরামের Lawno Bangladesh এর তৈরি পোশাক এখন ভারত, নেপাল, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, কাতার, দুবাই, নাইজেরিয়া, গ্রিস, আমেরিকা ও কানাডাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছে গেছে।
টি-শার্ট, পোলো টি-শার্ট, শার্ট, প্যান্ট, পান্জাবিসহ রয়েছে বাচ্চাদের আইটেম, লেডিস টি শার্ট, ট্রাউজার। বর্তমানে টিশার্ট এর চাহিদা সব থেকে বেশি, তবে শার্ট-প্যান্ট ও অন্যান্য পোশাকেরও চাহিদা রয়েছে অনেক। সারা বাংলাদেশের প্রায় ৬৪টি জেলা এবং উপজেলায় পণ্য পাঠিয়ে থাকেন। বর্তমানে মাসে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মত আয় করেন তিনি।
উদ্যোক্তা আল ইকরাম পড়াশুনার পাশাপাশি তার উদ্যোগকে নিয়ে গেছেন এক অন্য মাত্রায়। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমার মূলত গার্মেন্টস ব্যবসার প্রতি বেশি আগ্রহ ছিলো।সেই আগ্রহ থেকেই কাজ শুরু করি। আমার ইচ্ছা আছে দেশের সকল জেলায় শোরুম থাকবে এবং দেশের বাইরে ও কিছু শোরুম করার পরিকল্পনা আছে।”
“যে উদ্যোগটা হাতে নেবো তার সফলতা না পাওয়া পর্যন্ত লেগে থাকতে হবে এবং কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে। কারণ ব্যবসা পরিচালনা করতে হলে অনেক ধৈর্য্যের প্রয়োজন হয়”- এমনটাই মনে করেন উদ্যোক্তা আল ইকরাম।
সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা