জয়নব আক্তার জয়া রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। বাবা জুলফিকার আলি সরদার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের একজন সহকারী অফিসার। জয়া ২০২০ সালে করোনাকালে হ্যান্ডপেইন্টের কাজ শুরু করেন। সেই থেকে ছাত্রাবস্থায়ই উদ্যোক্তার খাতায় নাম লেখান জয়নব আক্তার জয়া।
ছোটবেলা থেকেই টুকটাক ছবি আঁকতে পছন্দ করতেন তিনি। ছবিগুলোকে ফেব্রিকে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন সবসময়। সেই ভাবনা থেকেই কাজের শুরু। ২০২০ সালে লকডাউনে ভার্সিটি বন্ধ থাকার সুযোগটা কাজে লাগান জয়া।
মাত্র ৮০০ টাকা পুঁজি নিয়ে রং তুলি এবং কাপড় কিনে কাজ শুরু করেন। শাড়ি, পান্জাবি, থ্রিপিসে তার হ্যান্ডপেইন্টের ডিজাইনগুলো ফটোগ্রাফির মাধ্যমে তার অনলাইন প্লাটফর্ম The Artingle এ প্রকাশ করেন। প্রায় ২০ থেকে ২৫ দিন পর জয়া তার প্রথম অর্ডারটি পান। প্রথম অর্ডারটি ছিল একটি হ্যান্ডপেইন্টেড টি শার্ট।
তারপর থেকে টুকটাক দুই একটা করে অর্ডার আসতে থাকে। বর্তমানে মাসে ১২-১৫ হাজার টাকা আয় হয় তার। ঢাকা, বরিশাল, রংপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুরসহ প্রত্যেকটি বিভাগেই তার পণ্য পৌঁছে গেছে।
যেহেতু জয়ার এখনো লেখাপড়া শেষ হয়নি তাই রংপুর থেকেই অনলাইনের মাধ্যমে তিনি তার উদ্যোগ পরিচালনা করে থাকেন। তবে ইচ্ছে আছে পড়াশোনা শেষে একটি শো-রুম হবে তার। তিনি মনে করেন, হ্যান্ডপেইন্টের মাধ্যমে নিজের কাজের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে উদ্যোক্তা বার্তাকে তিনি বলেন, আমার ইচ্ছে আছে আমার পণ্যের একটি ব্র্যান্ড হবে। শুধু হ্যান্ডপেইন্ট নয়, আরো প্রোডাক্ট লাইন বাড়াতে চাই। নিজস্ব একটি প্রোডাকশন হাউজ হবে। The Artingle-কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত করতে চাই সবার সামনে।
জয়া বলেন: একজন উদ্যোক্তা হতে পেরে আমি খুবই খুশি। নিজের মধ্যে একটা কনফিডেন্স কাজ করে। পড়াশোনার পাশাপাশি আমার উদ্যোগে বেশি সময় দেয়া হয় না। তবে যেটুকু দেই তাতে সবার এত রেসপন্স দেখে নিজেকে সফল মনে হয়। কেননা আমার নিজস্ব ডিজাইন মানুষের পছন্দ হয়। সেটা মানুষ কিনে। যখন সেল হয় তখন নিজেকে সফল মনে হয়।
সেতু ইসরাত
উদ্যোক্তা বার্তা