চিনি ছাড়া যেমন চা হয় না, ঠিক তেমন বাঙালী নারীর শাড়ির সঙ্গে চুড়ি না পড়লে সাজ হয় না। তাইতো এই চুড়িপ্রেমী নারীরা নিজেকে সাজাতে এবং চুড়ি কেনার জন্য এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজি করেন। অনেক সময় তারা ছুটে যান নিউ মার্কেট বা টিএসসির মোড়ে। কারণ সেখানে ছোট ছোট চুড়ির দোকানের পসরা বসে। তবুও সবসময় মেলেনা সব ধরণের চুড়ি । আবার হাতের মাপ অনুযায়ী চুরি না পাওয়ায় ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসতে হয় বিভিন্ন সময়ে। তবে এই সমস্যাগুলির কথা মাথায় রেখে ছোট পরিসরে আজ সাঝঘর শেষ করলো তাদের দুইদিন ব্যাপি চলা চুড়ির মেলা।
মেলায় আসা জনপ্রিয় সব দোকানগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে সারানা। এনেছিলেন বিভিন্ন রকমের চুড়ির সাথে বাহারি সব টিপের সমাহার। সেই টিপগুলির বেশির ভাগ ছিলো হাতে আঁকা।
এই প্রতিষ্ঠানের মালিক নওরিন আক্তার উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, এই মেলাটি অত্যন্ত ছোট পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু এখানে যে এত মানুষের ভীড় হবে সেটা ছিলো অবাক করার মত বিষয়। তবে ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে আবারও এই মেলায় অংশগ্রহণ করার।
মেলায় ঘুরতে আসা একজন শিক্ষার্থী রাইশা আমিন বলেন, মেলায় এসে আমার খুব ভালো লেগেছে। তবে সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয়টি হচ্ছে নতুন নতুন সব চুড়ির সংগ্রহ দেখে।
তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, মেলাটি অনেক ছোট পরিসরে হয়েছে তাই অনন্যা মানুষদের মত আমারো চুড়িগুলো দেখতে কষ্ট হয়েছে। যদি বেশি জায়গা নিয়ে মেলাটি করা যেত তাহলে সেটি আরও চমকপ্রদ হত।
মেলায় ঘুরতে আসা আরো একজন ক্রেতা তাহসান ফেরদাউস জানান, আজই প্রথম এমন কোন চুড়ির মেলায় আসা হলো। তবে মেলায় সাধারণত চুড়ির দাম কম থাকার কথা কিন্তু এখানে একটু বেশি।
এই সুন্দর মেলাটি আয়োজন করেছিলো সাঁজঘর নামক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সালমান রহমান উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন, আমরা আমাদের সম্পূর্ণটা দেওয়া চেষ্টা করেছিলাম, সুন্দরভাবে সম্পাদন করার জন্য। তবে যদি আমরা আরো বড় জায়গার ব্যবস্থা করতে পারতাম তাহলে মেলাটি আরো ভালো হতো। আসলে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি আমরা শিক্ষার্থীরা মিলে চালাই তাই তরল সম্পদেরও ঘাটতি ছিলো। তবে ইচ্ছা আছে ভবিষ্যতে আরো বড় এবং সুন্দরভাবে চুড়ির মেলার আয়োজন করতে।