নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার ডিমজাওন গ্রামের মোঃ আবুল কালাম আজাদ এর ছোট ছেলে মাসুম বাবু। পারিবারিক আর্থিক অসঙ্গতির কারণে বেশিদূর পড়াশোনা হয়নি তার। বাবা ছিলেন চায়ের দোকানদার। বাবাকে সাহায্য করার জন্য মাসুম প্রায় পাঁচ বছর চায়ের দোকানে কাজ করেন। তারপর হঠাৎ করেই মাথায় নতুন চিন্তা, বদলে ফেলেন তার পেশা ৷ নিজ বাড়িতেই গড়ে তুলেন একটি জুতার কারখানা, যেখানে তৈরি হচ্ছে ছেলেদের বিভিন্ন ধরনের স্লিপার ৷
এর আগে চাকরির সন্ধানে মাসুম একসময় ঢাকায় গিয়েছিলেন। সেখানে একটি জুতার কারখানায় চাকরি করেন প্রায় দুই বছর। চাকরির সুবাদে জুতা তৈরির উপকরণ এবং মেশিনারিজ সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা জন্মে তার ৷ চাকরি ছেড়ে বাড়ি এসে দীর্ঘকাল বাবার চায়ের দোকানেই সময় দেন তিনি ৷
তারপর হঠাৎ মনে হলো, জুতা তৈরির যাবতীয় কাজ তিনি জানেন; চাইলেই এটা নিয়ে কাজ করা যায়। অনেক দিনের জমানো প্রায় ৮০ হাজার টাকা দিয়ে নিজ বাড়িতে জুতা তৈরির কারখানা চালু করেন তিনি। উদ্যোগের নাম দিলেন ‘এম সুজ’। পরিবারের তিন সদস্য এবং পাঁচজন কর্মী নিয়ে মাসুম বাবু তার কাজটি পরিচালনা করছেন।
মাসুমের তৈরি স্লিপারগুলো স্থানীয় বাজার ছাড়াও লালমনিরহাট, ঢাকা, গাজীপুর, কোনাবাড়ি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁতেও পাইকারিভাবে বিক্রি হয়। প্রতিমাসে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ ডজন স্লিপার তৈরি হয় মাসুমের কারখানায় ৷ এতে মাসে আয় হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।
উদ্যোক্তা মাসুম বাবু বলেন, “আসলে সবাইকে দিয়ে সব কাজ হয় না। আমার মনে হয়েছে আমি এই কাজ পারবো, তাই শুরু করেছি। অনেক ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমার ‘এম সুজ’ এর জুতা বাংলাদেশের সব জায়গায় পৌঁছে দিতে চাই।”
সেতু ইসরাত
উদ্যোক্তা বার্তা