ইসরাত জাহান তার উদ্যোগ রাজকন্যা ট্রিট নিয়ে কাজ করছেন বিগত ৬ মাস ধরে কিন্তু এর আগে তিনি বিভিন্ন ধরনের কাজের সাথে সংযুক্ত ছিলেন। সেগুলো থেকে তেমন সুফল না পাওয়ায় চকলেট, কাপ কেক, মসলা নিয়ে কাজ করা আরম্ভ করে দিলেন।
যাত্রাপথে তিনি প্রথম বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন যখন সিদ্ধান্ত নিলেন যে তিনি অনলাইনে ব্যবসা করা শুরু করবেন। তখন তার সবচাইতে বড় বাধা ছিল তিনি তেমন কিছু জানতেন না যে কিভাবে তার উদ্যোগ শুরু করে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এই ব্যাপারে তিনি বলেন, “আমি বিডাতে একটা প্রশিক্ষণের সুযোগ পাই।তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি যেটা আমার এ পথ চলাকে অনেকটা সহজ করেছে সেজন্য আমি বিডা কে ধন্যবাদ জানাই।”
স্কুলে পড়ার সময় থেকে উদ্যোক্তার মনে হতো, “আমার নিজের যদি একটা দোকান থাকতো যেখানে আমি আমার পছন্দের জিনিস গুলো সাজিয়ে রাখতে পারতাম এবং সেখান থেকে প্রয়োজন মতো নিয়ে ব্যবহার করতে পারতাম।”
উদ্যোক্তার সেই আক্ষেপ তিনি পূরণ করেছেন উদ্যোক্তা জীবনে এসে। তিনি এই আক্ষেপ পূরণের ব্যাপারে আমাদের জানান, “বিভিন্ন শোপিসের দোকানের মত আমি আমার এই পেইজটাকে সাজিয়েছি। আমার এই উদ্যোগের পেইজ কে একটা নিজের দোকানের মতোই দেখি ঠিক যেন ছোট বেলার মতো। আমি মনে করি এই সেই দোকান যেখানে আমি আমার ভালোলাগার জিনিসগুলো সাজিয়ে রাখতে পারব।”
তিনি মূলত চকলেট বানানো প্রফেশনালি শিখেছিলেন বাসায় তার মেয়ের জন্য যেহেতু সন্তান অনেক চকলেট খায়। সেখান থেকেই তিনি চেয়েছিলেন কিভাবে স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তার বাচ্চাকে এই জিনিসটা দিতে পারবেন সে থেকেই তার চকলেট বানানো শেখা আর যখন কাজটা করতে খুব ভালো লাগে তখনই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন চকলেট বানানোটাকে পেশা হিসেবে নিবেন।
উদ্যোক্তাকে সব চাইতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে সেটা নিঃসন্দেহে বলতে হয় তার মেয়ে এবং তার পেইজের নামটাও মেয়েরই ঠিক করে দেওয়া। এভাবেই এগিয়ে যাচ্ছেন উদ্যোক্তা।
উদ্যোক্তা ইসরাত জাহান স্বপ্ন দেখেন দেশের সামনে এগিয়ে যাওয়ার। উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি চান সমাজে এগিয়ে যেতে সম্মানের সাথে। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে সমাজে যে পরিবর্তন তিনি দেখতে চান সেটা হচ্ছে এই পেশাটাকে সবাই যেন সুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। একজন উদ্যোক্তার সবচাইতে বড় প্রাপ্তি হচ্ছে তার নিজস্ব একটা পরিচয় সেটা বড় হোক আর ছোট হোক বা দেরি করে হোক তিনি সেই পরিচয় নিয়ে উদ্যোক্তাদের এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন।
সাকিব মাহমুদ,
উদ্যোক্তা বার্তা