সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, গ্রামীণ আবহে পিঠাপুলি তৈরি ও আয়োজনের উৎসব পৌষমেলা। নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে কৃষকরা ঘরে যে ফসল তোলে পরবর্তীতে তা দিয়ে বিভিন্ন স্বাদ, গন্ধ ও বৈচিত্র্যের পিঠাপুলি তৈরির মধ্য দিয়ে এ মেলা তথা উৎসব উদযাপিত হয়। মূলত গ্রামীণ কৃষিনির্ভর জীবনের প্রতিচ্ছবি এ পৌষমেলা।
শনিবার রাজধানীর বাংলা একাডেমি চত্বরে পৌষমেলা উদযাপন পরিষদের আয়োজিত তিন দিনব্যাপী (০৪-০৬ জানুয়ারি) ‘পৌষমেলা-১৪২৬’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, নগরায়ন ও আধুনিকতার নামে কৃত্রিমতা আমাদের গ্রাস করেছে । যার প্রভাব পড়েছে আমাদের বিভিন্ন মেলা ও উৎসবে।
তিনি কৃত্রিমতা ও বাহুল্য পরিহার করে সবাইকে লোকসংস্কৃতির প্রকৃত উপাদান ও অনুসঙ্গ অনুসরণ ও চর্চার আহবান জানান।
প্রতিমন্ত্রী এসময় ২১ বছর ধরে পৌষমেলা উদযাপনের মাধ্যমে গ্রামবাংলার চিরায়ত লোকজ সংস্কৃতিকে নগরবাসীর সামনে তুলে ধরার জন্য পৌষমেলা উদযাপন পরিষদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
পৌষমেলা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ফকির আলমগীর, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ ও পৌষমেলা উদযাপন পরিষদের সহসভাপতি নাট্যজন ঝুনা চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পৌষমেলা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায়।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন পরিষদের অনুষ্ঠান সমন্বয়ক মানজার চৌধুরী সুইট। আলোচনা শেষে প্রতিমন্ত্রী আইলা জ্বালিয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
এরপর বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। ৫৪টি স্টলে সাজানো পৌষমেলা প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা