ওয়াটার টাইকুন ঝং কে হারিয়ে চীনের সেরা ধনী হলেন টিকটক এর প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইয়েমিং

0

ওয়াটার টাইকুন ঝং কে হারিয়ে চীনের সেরা ধনী হলেন টিকটক এর প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইয়েমি
টিকটকের মূল সংস্থা বাইটড্যান্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ঝাং ইয়েমিং, বেভারেজ জায়ান্ট নংফু স্প্রিং-এর চেয়ারম্যান ঝং শানশানকে পিছনে ফেলে চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়েছেন। ৪০ বছর বয়সী ঝাং $ ৪৫.৬ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে এ শীর্ষস্থান দখল করেছেন

ঝাং ইয়েমিং ছিলেন চীনের শীর্ষ ধনীদের একজন। ছোট ভিডিও বানানোর অ্যাপ টিকটক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ঝাং-এর হয়েছে তাক লাগানো সম্পত্তি। সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপ টিকটক-যার বিশ্বব্যাপী ১ বিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী রয়েছে। অন্যান্য সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম যেমন: ফেসবুক, ইউটিউবকেও ছাড়িয়ে গেছে টিকটক।

বাইটড্যান্স-এর যাত্রা শুরু ২০১২ সালে কেবল একটি চার বেডরুমের বেইজিং অ্যাপার্টমেন্টে। শুরুর মাত্র নয় বছরের মাথায় ৬০ বিলিয়ন ডলার সম্পদের মালিক বনে যান ঝাং।
ঝাং ২০১২ সালে শুরু করেন বাইটড্যান্স। ২০১৫ সালে বাইটড্যান্স একটি ছোট ফ্যানবেসসহ তার ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ চালু করেন। এর এক বছর পর বাইটড্যান্স একটি চীনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম মিউজিক্যালি কিনে নেয়। এবং এটিকে টিকটকে একীভূত করে।

ই-কমার্স জায়ান্ট PDD হোল্ডিংস-এর প্রতিষ্ঠাতা কলিন হুয়াং-এর কাছে আগস্টের শুরুতে ঝং শানশান চীনের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে তার খেতাব হারান। অপরদিকে বাইটড্যান্সও তার নিজস্ব অসুবিধার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। ঝাং সবসময় লো প্রোফাইল বজায় রাখতেন এবং ২০২১ সালে দীর্ঘদিনের বাইটড্যান্স নির্বাহী ও তার প্রাক্তন কলেজমেট লিয়াং রবোকে কোম্পানির নেতৃত্ব দেন।

বাইটড্যান্স চীনা মালিকানা নিয়ে উদ্বেগ ও সম্ভাব্য জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে এপ্রিল মাসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষরিত একটি নিষেধাজ্ঞার জন্য মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে একটি বড় আইনি লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়। যা বাধ্যতামূলক করে যে হয় সংস্থাটিকে টিকটক বিক্রি করতে হবে বা জানুয়ারির মধ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে।

বিদেশে এর চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, বাইটড্যান্সের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম সুদৃঢ়ভাবে সম্পাদন করে চলেছে। বাইটড্যান্সের বিক্রি ২০২৩ সালে ১২০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় $৮০ বিলিয়ন বেড়েছে।
বর্তমানে ৪০ বছরের ঝাং ইয়েমিং এর মোট সম্পদের পরিমান $৪৫.৬ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা।

তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here