এসএমই ফাউন্ডেশন এবং আইএলও বাংলাদেশ-এর সেমিনার

0

এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের সিএমএসএমই খাতের নিবন্ধন, অর্থায়ন, ব্যবসা উন্নয়নসহ সব সেবা একক সংস্থা’র অধীনে হওয়া প্রয়োজন। কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের জন্য আলাদা নীতিমালা দরকার।

এসএমই ফাউন্ডেশন এবং আইএলও (ILO) বাংলাদেশ-এর সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এরকম মত প্রকাশ করেছেন।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) এসএমই ফাউন্ডেশন এবং আইএলও (ILO) বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের এসএমই খাতের উন্নয়নে অগ্রাধিকার নির্ধারণে জাতীয় অংশীজন পরামর্শ সভা ও নীতি সংলাপ’-এর সমাপনী অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এহছানে এলাহী এবং এফবিসিসিআই সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম।

এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তৃতা করেন আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর Toumo Poutiainen। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইএলও বাংলাদেশের এসএমই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ Gunjan Dallakoti এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজিম হাসান সাত্তার।

প্রবন্ধে বলা হয়, এশিয়ার প্রায় সব দেশে সিএমএসএমই খাতের উন্নয়নে একক সংস্থা থাকলেও বাংলাদেশে ভিন্ন সংস্থা থাকায় সমন্বয়হীনতার কারণে প্রয়োজনীয় সেবা পান না উদ্যোক্তারা। এজন্য সিএমএসএমই প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন, অনুমোদন কর প্রদান একই প্রতিষ্ঠান থেকে হওয়া প্রয়োজন। সেই সাথে সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের ব্যবসা উন্নয়ন সেবা, অর্থায়ন, প্রযুক্তি হস্তান্তর, বাজারজাতকরণসহ সব সেবা নিশ্চিত করতে ওয়ান স্টপ এসএমই হেল্পডেস্ক গঠন করা দরকার।

রপ্তানি সম্ভাবনাময় এসএমই ক্লাস্টারসমূহে মান নিয়ন্ত্রণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন সেবা প্রদানে কমন ফ্যাসিলিট সেন্টার এবং আলাদা সিএমএসএমই রপ্তানি উন্নয়ন সংস্থা গঠনেরও পরামর্শ দেয়া হয় সেমিনারে।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি বলেন, বাংলাদেশের মোট শিল্প প্রতিষ্ঠানের ৯০ ভাগের বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি। গ্রাম পর্যায়ে শতকরা ৬৪ ভাগের বেশি প্রতিষ্ঠান অকৃষি খাতের। শিল্প খাতের কর্মসংস্থানের ৮৫ ভাগ সিএমএসএমই খাতের অবদান এবং অর্থনীতিতে এই খাতের অবদান শতকরা ২৫ ভাগ।

তিনি বলেন: কোভিড ১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের এসএমই উদ্যোক্তারাও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এসএমই ফাউন্ডেশনসহ সরকার তাদেরকে সহায়তার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

ডেস্ক রিপোর্ট
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here