সাবিনা ইয়াসমিন পেশায় একজন ডাক্তার। বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, নারায়ণগঞ্জে মেডিক্যাল অফিসার কর্মরত। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি ২০২১ সাল থেকে কাজ করছেন ব্লক বাটিকের পণ্য নিয়ে। শখের বশে শুরু করলেও এখন মাসে বিক্রি প্রায় প্রায় ৩ লাখ টাকা।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ শেরপুরের মেয়ে সাবিনা। ছোটবেলা থেকেই ছিল ব্লকের ড্রেস পরার শখ। ননদ দিলারা আক্তারের পরামর্শে নিজেই ডিজাইন করে ব্লকের কারখানা থেকে পণ্য বানিয়ে পরা শুরু করেন। সেই ছবি ফেসবুকে শেয়ার করলে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান পরিচিতজনরা। সকলের কৌতুহল দেখে স্বামী এবং ননদের সাপোর্টে ব্লকের শাড়ি নিয়ে ‘মায়াবতী’ নামে অনলাইনে পথচলা শুরু করেন তিনি।
মায়াবতীদের হাতের নাগালে কোয়ালিটি পণ্য পৌঁছে দেয়াটাই লক্ষ্য হিসেবে নিয়ে কাজ করছেন সাবিনা ইয়াসমিন। ক্রেতাদের চাহিদায় ব্লকের পাশাপাশি বাটিকের, শাড়ি, থ্রিপিস, টুপিস, কুর্তি, হিজাব, কাপল ড্রেস, ফ্যামিলি ড্রেস, বেবি ড্রেসসহ নানা ধরনের পণ্য যোগ করেছেন ‘মায়াবতীর’ পণ্যভাণ্ডারে।
সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘স্বল্প সময়ের এই পথচলায় চাকরি ও সংসার সামলে উদ্যোগের জন্য সময় বের করাটা বিরাট চ্যালেঞ্জের। কিন্তু হাসব্যান্ড এবং ননদের সাপোর্ট আমাকে আরও উদ্যমী হতে প্রেরণা দেয় প্রতিনিয়ত।’
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় তার প্রোডাক্টের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ সবার শীর্ষে। বাংলাদেশের পাশাপাশি দেশের বাইরেও পণ্য গেছে একাধিকবার। মাসে ২০/৩০ জন ক্রেতার কাছে পণ্য সরবরাহ করে যাচ্ছেন তিনি।
ভবিষ্যতে নিজের একটা বড় ব্লকের কারখানা করার স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্ন দেখেন কর্মহীনদের কর্মসংস্থান তৈরি করবেন। দেশের পাশাপাশি দেশের বাইরে সমানতালে পণ্য পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে দেশি পণ্যের প্রতি সবাইকে আকৃষ্ট করতেও কাজ করতে চান সাবিনা ইয়াসমিন।
হাবিবুর রহমান
উদ্যোক্তা বার্তা