বাংলাদেশের গ্রামীন আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতা সৃষ্টির লক্ষে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা বিএম কামরুজ্জামান। পেশাগত অন্যান্য দায়িত্বের পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে তার রয়েছে বিশেষ সুনজর।
ইতোমধ্যে তিনি ৪৫ জন নারী উদ্যোক্তা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, ঋণ সুবিধা, চিকিৎসা সহায়তা ও বিপণন সহায়তা প্রদান করেছেন। উদ্যোক্তাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ সাধনের জন্য কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থাও করেছেন। পুঁজি বিনিয়োগ সচল রাখতে ৪৫ জন উদ্যোক্তার মাঝে ক্ষুদ্র ব্যবসা, মৎস্য চাষ, গবাদিপশু পালন, নার্সারি, ফুল চাষ, সবজি চাষ, পোল্ট্রি শিল্প, হস্তশিল্প ইত্যাদি ক্ষাতে সহজ শর্তে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা ঋণ সুবিধা প্রদান করেছেন। এমন কী ‘জনগণের দোর গোড়ায় সেবা’ সরকারের এই প্রতিপাদ্যকে বাস্তবায়নে এবং উদ্যোক্তাদের ভোগান্তি কমানোর লক্ষে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই ঋণ সুবিধা প্রদান করেছেন।
পল্লীবাজার, কারুপল্লী ও বিভিন্ন ধরণের মেলার মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বিপণনের ব্যাবস্থা করেছেন। এ-সমস্ত সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের সুসাস্থ্য নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা সহায়তা, নিরাপদ পানির ব্যাবস্থা, কর্ম সহায়ক উপকরণ প্রদান ও উদ্যোক্তাদের যাবতীয় খোঁজ-খবর নিয়ে চলেছেন।
ঝিকরগাছা উপজেলার বেনেয়ালী গ্রামের উদ্যোক্তা রেণুকা বেগম জানান, ‘কামরুজ্জামান স্যার যাদি আমাকে সাহায্য না করতেন তাহলে আমি এ পর্যায়ে আসতে পারতাম না’। উদ্যোক্তা সৃষ্টির ব্যাপারে জনাব কামরুজ্জামান বলেন, ‘চাকরির পেছোনে না ছুটে আমাদের উদ্যোক্তা হওয়া উচিৎ। চাকরি না পেলে আমিও উদ্যোক্তাই হোতাম’।
জনাব কামরুজ্জামান ২০১৫ সালে শ্রেষ্ঠ সহকারী প্রকল্প পরিচালক হিসেবে সরকারি অর্থায়নে চীন ভ্রমণের সুযোগ পান। ২০১৭ সালে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা ও ২০২০ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেন।
সাইদ হাফিজ
উদ্যোক্তা বার্তা, খুলনা