জমে উঠেছে ১০ দিনের ১০ম জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা। মেলার পঞ্চম দিন সোমবার মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, বেশ জমজমাট স্টলগুলো। প্রায় প্রতিটি স্টলেই উদ্যোক্তা ও বিক্রয় কর্মীরা পার করছেন ব্যস্ত সময়। নিজেদের তৈরি বাহারি পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করছেন তারা। তুলে ধরছেন তাদের পণ্যের বৈচিত্রতা ও গুণগত মান। ক্রেতারাও তাদের চাহিদা ও পছন্দমতো কিনছেন বিভিন্ন জিনিস। বৈচিত্র্যময় প্রায় সব পণ্যেই রয়েছে লোভনীয় অফার।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা উদ্যোক্তা দিলারা আক্তার জানান, ”মেলার শুরু থেকেই ক্রেতাদের ভালো সাড়া পাচ্ছি। ক্রেতারাও জামদানি শাড়ি, কুর্তি পছন্দ করছেন। প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া মিলছে।”
প্রকৃতি হ্যান্ডিক্রাফটের উদ্যোক্তা লিপি আক্তার বলেন, “বিগত পাঁচ দিন থরেই ক্রেতাদের বেশ সাড়া পাচ্ছি। এরকম মেলা বছরে একটি নয়, বেশ কয়েকটি হলে আমাদের উদ্যোক্তাদের জন্য ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার সুযোগ বাড়বে।”
মেলায় ক্রেতাদের চাহিদার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কুশন, কুশন কাভার, ফ্লোর ম্যাট, শতরঞ্জি, পাটের তৈরি শার্ট, কটি, পাঞ্জাবি, সাইড ব্যাগ, জুতা, বিভিন্ন দেশের পতাকার আদলে তৈরি ব্যাগপ্যাক। চামড়ার তৈরি বেল্ট, চাবির রিং, জ্যাকেট, মানিব্যাগ, ল্যাপটপ ব্যাগও পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া ঐতিহ্যবাহী টেরাকোটার কাজ এবং মৃৎ শিল্প সামগ্রী, রয়েছে কাঠের তৈরি বিভিন্ন পণ্যসহ হোম মেড খাবারের বিশাল চাহিদা।
মেলায় ঘুরতে আশা সন্ধ্যা আহমেদ উদ্যোক্তা বার্তাকে বলেন: এক ছাদের নিচে বিভিন্ন ধরনের দেশিয় পণ্যের সমাহার দেখে খুবই ভালো লেগেছে। মেলা ঘুরে দেখেছি যে এখানে বেশিরভাগই নারী উদ্যোক্তা, যা সবচাইতে বেশি ভালো লেগেছে।
২০১২ সাল থেকে প্রতি বছর এ মেলা আয়োজন করছে এসএমই ফাউন্ডেশন। নিজেদের পণ্য প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছেন তিন শতাধিক সিএমএসএমই উদ্যোক্তা।
মেলাটি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৪ নভেম্বর শুরু হওয়া মেলা ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।
হাবিবুর রহমান
উদ্যোক্তা বার্তা