করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য প্রায় ১০০ কোটি টাকার ঋণ ছাড় দিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
ইতোমধ্যে ৩১৬জন উদ্যোক্তার জন্য ৪২ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। ২৩০জন উদ্যোক্তার জন্য ৪২ কোটি টাকা অনুমোদন দেয়া হয়েছে এবং আরো ২৬৮জন উদ্যোক্তার জন্য ৫৪ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শনিবার ৩০ অক্টোবর সিলেটে উদ্যোক্তা-ব্যাংকার-ম্যাচমেকিং অনুষ্ঠানের আয়োজনে এসব তথ্য জানায় এসএমই ফাউন্ডেশন।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে প্রান্তিক অঞ্চলের প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত এসএমই উদ্যোক্তাদের কাছে সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ পৌঁছে দিতে উদ্যোক্তা-ব্যাংকার-ম্যাচমেকিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট কার্যালয়ের সহায়তায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, এসএমই উদ্যোক্তাদের সাথে ব্যাংকারদের দূরত্ব কমাতে উদ্যোক্তা সংগঠনগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বড় উদ্যোক্তাদের তুলনায় ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণ বিতরণের প্রক্রিয়া ব্যয়সাপেক্ষ হলেও সরকারের প্রণোদনার ঋণ বিতরণে এগিয়ে আসায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধন্যবাদ তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ সুষ্ঠভাবে বিতরণ নিশ্চিত করতে একটি হটলাইন চালু করা যেতে পারে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, ছোট উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে ঋণের অর্থ ফেরত না পাওয়ার কোন নজীর নেই। এসএমই উদ্যোক্তাদের ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে নিয়মকানুন সহজ করতে ব্যাংকার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
সেই সাথে উদ্যোক্তাদের সহজে ঋণ পেতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
এছাড়া চলতি অর্থবছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ২০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ শেষ করা সম্ভব হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক এ কে এম এহসান এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক ফারজানা খান।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা