উদ্যোক্তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে দুদিনব্যাপী ‘উদ্যোক্তার উঠান’ অনুষ্ঠিত

0

দেশের সাম্প্রতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে অনেকেই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে চাকরিজীবী বা অন্যান্য পেশাজীবীরা তাঁদের কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন কিন্তু উদ্যোক্তারা সংকটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারেনি৷ ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় তাদের অনলাইন ব্যবসায় পুরোপুরি ধস নামে। কারণ,উদ্যোক্তাদের ব্যবসার একমাত্র মাধ্যম ছিল অনলাইন।

ইন্টারনেট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও অনেকে সামাজিক মাধ্যমে পোস্টের কারণে উদ্যোক্তাদের অনেকে সামাজিক বুলিংয়ের শিকারও হয়েছেন। এতে উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক ক্ষতির পাশাপাশি মানসিক ক্ষতিও হয়েছে। সব মিলিয়ে গত দুই মাস অনলাইন উদ্যোক্তাদের কঠিন সময় পার করতে হয়েছে। বর্তমানে উদ্যোক্তারা নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন, সেই লক্ষ্যেই মাইডাসে আয়োজন করা হয় ‘আনন্দ উঠান’।

মাইডাস সেন্টারে ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর দেশীয় উদ্যোক্তাদের মিলনমেলা এ ‘আনন্দ উঠান’ অনুষ্ঠিত হয়। মেলায় ৩২ উদ্যোক্তা তাঁদের বৈচিত্র্যময় পণ্য নিয়ে হাজির হয়। এবারের ‘আনন্দ উঠান’ – এ অংশ নেন পটের বিবি, শাড়িকথন, সুতলি, তেরো পার্বণ, ঋ, মল্লিকা, কালিন্দী, দেশী বুনন, গথিয়া, মিথ আর্ট অ্যান্ড ক্রাফটস, পোশাক বাই তাননাস, নয়া, খুঁত, বাঙুরি, আরুনিকা, ক্যানভাস, এনস কিচেন, বিজেন্স, তানিস বাংলাদেশ, আর্টেমিস, অন্দর, বোকা বাক্স, দয়ীতা, রংধনু ক্রিয়েশনস, মিন্ডালা ডটকম, দীঘল, আঁচারি, শখের ডিব্বা, আটকুঠুরি নয় দরজা, সম্পূর্ণা, চিয়ারি শেফ, দিশা’স রোডব্লক এবং পৌরাণিক।

‘পটের বিবি’র ফোয়ারা ফেরদৌস ছিলেন এই আয়োজনের মূল আয়োজক। ‘আনন্দ উঠান’ আয়োজন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আনন্দ উঠান’ এবার দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত হচ্ছে। মূলত আমি গত বছর ‘আনন্দ উঠান’ শুরু করেছিলাম। এর উদ্দেশ্য ছিল, যেসব উদ্যোক্তা অনলাইন ব্যবসা করেন, তাঁরা যেন অফলাইনে মানে মেলায় ছোট দোকানের মতো সাজিয়ে নিজেদের পণ্য বিক্রি করার মতো পরিবেশ পান। যেখানে ক্রেতারা এসে নিজের চোখে অনলাইন উদ্যোক্তাদের পণ্যগুলো দেখতে পারেন।

দেশের এই পরিস্থিতিতে সবার জীবিকা হুমকির মুখে ছিল। এবারের আয়োজন আমি একা করিনি। কয়েকজন উদ্যোক্তা মিলে ‘আনন্দ উঠান’ আয়োজন করি। এ বছর আমরা সবাই সবাইকে মানসিক শক্তি দেওয়ার জন্য এই ‘আনন্দ উঠান’ আয়োজন করি। তাই এবারের মেলার অভিজ্ঞতা অনেক আলাদা।

‘আনন্দ উঠান’ আয়োজনের পেছনে মূল লক্ষ্য, আমরা যদি দুদিন মেলা বা আড্ডার মতো কিছু করি, তবে সেখানে উদ্যোক্তা আর ক্রেতাদের মিলনমেলা হতে পারে। তাহলে উদ্যোক্তারা কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস পাবে। এ ছাড়া আমাদের ব্যবসায়িক বন্ধুদের সঙ্গে মেলবন্ধন তৈরি হবে। কাজের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা আসবে।

‘আনন্দ উঠান’ আয়োজনে শুধু পোশাক, গয়না, শাড়ির স্টল ছিল না। এখানে ছিল জিভে জল আসার মতো খাবারের স্টল। যেখানে প্লেটে প্লেটে সাজানো ছিল হরেক রকমের খাবার।

দুদিনের এই আয়োজনে উদ্যোক্তাদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণই প্রমাণ করে দেয় – ঘুরে দাঁড়ানোর দৃঢ় প্রত্যয়ে তারা কাজ করছেন একসাথে, একে অন্যের বন্ধু হয়ে।

সেতু ইসরাত,
উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here