সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নারী উদ্যোক্তাদের উপস্থিতি বাড়ছে। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) তথ্য বলছে, এখন দেশে প্রায় ২০ হাজার ফেসবুক পেজে কেনাকাটা চলছে। এর মধ্যে ১২ হাজার পেজ চালাচ্ছেন নারীরা।
ফেসবুককে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে স্বল্প পুঁজিতেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন নারীরা। ই-ক্যাবের তথ্যমতে, গত এক বছরে ই-কমার্স খাতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ঈদসহ যেকোনো উৎসবে এ লেনদেন বাড়ে।
নারী উদ্যোক্তাদের কেউ পোশাক, কেউ গয়না, কেউ হাতে তৈরি জিনিস, কেউ তৈরি খাবারসহ নানা পণ্য বিক্রি করছেন। অনেকে দেশীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরার কাজ করছেন। কেউ শৌখিন পণ্য নিয়ে ব্যবসায় নেমেছেন। এই নারীরা শিক্ষিত। সংসারের চাপসহ নানা সমস্যায় অনেকের পক্ষে চাকরি করা সম্ভব হয়নি। অনেকে নিজে কিছু করবেন বলে বদ্ধপরিকর। ফলে সংসার সামলানোর পাশাপাশি স্বাধীন এ ব্যবসায় আগ্রহ বাড়ছে নারীদের।
উদ্যোক্তারা ঘরে বসে ব্যবসা করছেন, একইভাবে ক্রেতারাও ঘরে বসে পণ্য পছন্দ করে কল করে অথবা খুদে বার্তা পাঠিয়ে পছন্দের পণ্যটি হাতে পাচ্ছেন। তবে অনলাইনে এ ধরনের ব্যবসায় ক্রেতারা ঠকছেন বলেও অভিযোগ আছে। ফেসবুকে এক পণ্য দেখিয়ে ক্রেতার কাছে অন্য পণ্য পাঠিয়ে দেওয়ার পর ক্রেতারা কোনো প্রতিকারও পাচ্ছেন না।
কিছু অভিযোগ থাকলেও ই-কমার্সে নারী উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বাড়ার বিষয়টিকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করছেন ই–কমার্সের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে প্রযুক্তির সুবিধায় নারীদের ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে এফ-কমার্স বা ফেসবুকভিত্তিক ব্যবসা। অনলাইনভিত্তিক ক্রেতা হিসেবেও নারীর সংখ্যাই বেশি।
ই-ক্যাবের যুগ্ম সম্পাদক নাসিমা আক্তার বলেন, ই-ক্যাবের ফেসবুক গ্রুপে অভিযোগ দিলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কেউ প্রতারিত হলে প্রথমে ই-ক্যাবের পক্ষ থেকে ক্রেতা ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলা হয়। এ ছাড়া কেনাকাটায় প্রতারণার শিকার হলে থানায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ারও সুযোগ আছে। নারী উদ্যোক্তাদের নিজেদের ব্যবসার স্বার্থেই এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে, যাতে কোনো ক্রেতা প্রতারণার শিকার না হন।
ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা