ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশন (ওয়াইবিসিএফ) বরাবরই বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও মানুষের জন্য কাজ করে আসছে। সৃজনশীল উদ্যোক্তারা দেশে নতুন করে কর্মসংস্থান তৈরি করে অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। শুধু তাই নয়, আরো মানুষের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করতে সক্ষম হচ্ছে। উদ্যোক্তার অর্থনৈতিক-সামাজিক স্বচ্ছলতা নাও থাকতে পারে। কিন্তু যখন তার একটা বড় স্বপ্ন আছে, তিনিও সফল উদ্যোক্তা হওয়ার সমান সম্ভাবনা রাখেন। নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসার প্রচার এবং তাদের কাজ ও সফলতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার উদ্দেশ্যে রাজধানীর গুলশানে শুটিং ক্লাবে আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনব্যাপী উদ্যোক্তা ও পণ্য মেলা ‘তরুণ উদ্যোক্তা মেলা’।

আজ শুক্রবার রাজধানীর গুলশান-১ এর শুটিং ক্লাবে ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের উদ্যোগে তরুণ উদ্যোক্তা মেলা-২০২১ উদ্বোধন করা হয়েছে । ফিতা কেটে তিন দিনব্যাপী ” মেলার উদ্বোধন করেন ইয়ুথ বাংলার দুই উপদেষ্টা দিলারা জামান এবং শর্মিলী আহমেদ। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরামেরর প্রেসিডেন্ট মুনা চৌধুরী, সংগঠনের ইভেন্ট অর্গানাইজার কোমল চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করে বরেণ্য আববৃত্তিকার শিমুল মুস্তাফা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, এসআই টুটুল সহ ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরবৃন্দ।

ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরামের প্রেসিডেন্ট মুনা চৌধুরী বলেন, “নারীদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোটা খুব জরুরি। তারা যদি নিজেরা কিছু করতে পারে, তবে তাদের অবস্থানও শক্ত হয়। নিজেদের অবস্থানের পরিবর্তন আনতে নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি”।

সংগঠনটির উপদেষ্টা ও অভিনেত্রী দিলারা জামান উদ্যোক্তাদের প্রতি লক্ষ্য করে তরুণ উদ্যোক্তাদের তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য আয়োজক আমব্রেলা ও ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফোরামকে সাধুবাদ জানিয়েছন। সেই সঙ্গে আরো নতুন নতুন পণ্য নিয়ে আরো বেশি মেলা আয়োজন করার জন্য আহবান জানান।

সংগঠনটির আরেক উপদেষ্টা ও অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ বলেন, তরুণরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এ ধরনের মেলা তরুণদেরকে তাদের নিজেদের প্রতি আস্থা তৈরী করতে এবং তাদের আগামী দিনের ভবিষ্যতকে আরো শক্তিশালী করে একটা উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্যে পৌঁছে দিবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

মেলায় হস্তশিল্প, কারুকার্য, হাতে বানানো পোশাক, শিশুদের তৈরি পোষাক, হোম মেইড ফুড, জুয়েলারি সামগ্রী, অর্গানিক পণ্য ও ঐতিহ্যের সমাহার খাবার সহ বিভিন্ন পণ্যের আয়োজন রয়েছে সেখানে। পাশাপাশি বিভিন্ন খেলনার দোকান, বাহারি রকমের মিষ্টি, দইবড়া ও জিলাপির দোকান বসেছে। মেলায় ২৫টিরও বেশি ক্যাটাগরির পণ্য নিয়ে ৭০জন উদ্যোক্তা অংশগ্রহণ করেছে এবং প্রত্যেকেই তাদের পণ্যের ওপর বিভিন্ন রকম অফার দিচ্ছেন।

প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে মেলা। এ মেলা চলবে আগামী রোববার পর্যন্ত।

মেলায় ছোট প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোও রয়েছে যারা দেশের অর্থনীতিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মহামারির সময়ের পর উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে এই ধরনের উদ্যোগ মুজিববর্ষ উপলক্ষে তাদের জন্য একটি সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে বলে আশা করেন আয়োজকবৃন্দ।

ডেস্ক রিপোর্ট, উদ্যোক্তা বার্তা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here