মানুষের প্রতিদিনের মৌলিক বস্তুগুলোর মধ্যে একটি পোশাক। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পোশাকে এসেছে নানা রঙ ও বৈচিত্র্য। বাঙালিয়ানার সঙ্গে নকশায় এসেছে নতুনত্ব।
উদ্যোক্তা সায়মা আলম আবৃতা কুমিল্লার মেয়ে। বাবা-মায়ের বড় সন্তান তিনি। ছোট একটি বোন আছে। মা কলেজ শিক্ষিকা এবং বাবাকে হারান ছোট বেলাতে।
নিজ শহরে বড় হয়ে ওঠেন সায়মা আলম আবৃতা। এসএসসি পাশ করেন আওয়ার লেডি অফ ফাতিমা হাই স্কুল থেকে, এইচএসসি শেষ করেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ। এরপরে তিনি ঢাকাতে এসে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা শেষ করেন।
পড়াশোনার শেষের দিকে বোনসাই মেলায় যান এবং সেখানে ফ্যাশন ডিজাইনের ৩ মাসের একটি কোর্স করার সুযোগ পান। তার মনে হলো কোর্সটা করবেন, যেহেতু ছোট বেলা থেকে ইচ্ছা ছিল নিজে কিছু করার। কোর্স করা ওই প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু ব্লক, বাটিকের কাপড় এনে পাশের মানুষগুলোর কাছে বিক্রি করতেন। দেখা গেল সবাই এগুলো পছন্দ করছেন, কোর্স শেষ হবার পর তিনি মনে করলেন, আমি নিজেই কাজটা শুরু করতে পারি। অল্প টাকায় কিছু কুমিল্লার খাদি কাপড় কিনে ওয়ান-পিস, থ্রি-পিস শুরু করেন। সবাই উৎসাহ দিলে তিনি ২০১৩ সালে ‘আবৃত’ নামে একটি পেজ খোলেন।
তিনি সম্পূর্ণ নিজের ডিজাইনের ব্লক, বাটিকের কাজ করেন। এ কাজটি তিনি ৫০০ টাকা দিয়ে শুরু করেন। তিনি বলেন, খুব সামান্য টাকায় শুরু করলেও ভালো উৎসাহ পান। এ থেকেই যাএা শুরু ‘আবৃতা’র। তিনি প্রতি মাসে ২০/২৫ হাজার টাকার পণ্য তৈরি করেন।
তিনি বলেন, দেশীয় পণ্যের প্রতি ভালবাসা থেকে কাজ করেন এবং সামনে একটা ‘বুটিক হাউজ’ দেওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন। সায়মা আলম আবৃতার দেশীয় পণ্য বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলায় বিক্রি করে থাকেন।
শারমিন আক্তার
উদ্যোক্তা বার্তা ঢাকা