ছোটবেলা থেকে আঁকাআঁকি এবং ক্রাফটের প্রতি আগ্রহ থেকেই কাজ শুরু করেছিলেন মারিয়া তন্বী, সেখান থেকেই তার স্বপ্নের বাস্তব রাজ্যে ‘শ্যামা’র পথচলা শুরু।
উচ্চ মাধ্যমিক শেষ হওয়ার পর খানিকটা নিজ ইচ্ছা এবং পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দেন রাজশাহীর সপুরা অঞ্চলের আবু জাহিদ মামুন এবং হাসনাহেনা দম্পত্তির কন্যা মারিয়া তন্বী। ছোটবেলা থেকেই তন্বী রংতুলি এবং ক্রাফটিংয়ের বিষয়গুলো নিয়ে বেশ উৎসাহী ছিলেন। সেখান থেকেই নিজের জন্য গহনা তৈরি করলেন। আশপাশের সবাই খুব প্রশংসা করলেন। প্রশংসা শুনে কিছু দিন পর আবারো নিজের জন্য গহনা তৈরি করলেন, এইভাবে চলতে থাকলো।
একটা সময় মনে হলো এবার আর শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যদের জন্যও পণ্য তৈরি করবো। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবো, এই ভাবনা থেকে অনলাইনে একটি পেজ খুললেন। তারপর বিভিন্ন ধরনের পণ্য তৈরি করে পেজে ছবি দিলেন। এই ভাবেই উদ্যোক্তা জীবনে পা বাড়ালেন মারিয়া তন্বী।
মাত্র ১,৩৭৫ টাকা নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। শুরুর দিকে কাঠের গহনাতে রং করতেন। শোপিসে রং করতেন। এরপর যুক্ত হলো কাপড়, সুতা দিয়ে বিভিন্ন গহনা তৈরি। কাজ করতে করতে দু’বছর পার করেছেন তন্বী। দু’বছরে আরো অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে। বর্তমানে অভিজ্ঞতা বাড়ায় তিনি তার কাজের মানকে আরো উন্নত করেছেন। নিজ হাতে এখনো বিভিন্ন ধরনের মালা, কানের দুল, আংটি, টিকলিসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করছেন মারিয়া তন্বী। যা অল্প সময়ে ব্যাপক ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় তার পণ্য পৌঁছে যাচ্ছে।
চলার পথে পরিবারের সহযোগীতা না থাকাসহ বিভিন্ন বাধার সম্মুখিন হয়েছেন। কিন্তু থেমে যাননি। একা কাজ করে গেছেন। ১,৩৭৫ টাকার পুঁজিকে নিজের কাজ দিয়ে মাত্র দুই বছরে ৪ লক্ষ টাকার পুঁজিতে এনে দাঁড় করিয়েছেন উদ্যোক্তা মারিয়া তন্বী।
তরুণদের উদ্দেশ্য তন্বী বলেন- পুঁজি, পরিবারের সহযোগীতা কিছুই লাগে না যদি শুধুমাত্র ইচ্ছেটা স্থির থাকে। নিজের ইচ্ছে স্থির থাকলেই সফলতা অর্জন সম্ভব।
তামান্না ইমাম
রাজশাহী ডেস্ক, উদ্যোক্তা বার্তা