যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশীদের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠন ইউকে-বাংলাদেশ ক্যাটালিস্ট অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ইউকেবিসিসিআই) ‘আজীবন সম্মাননা’ পেয়েছেন বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী এপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী।
সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট বজলুর রশীদ ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের (১৯৯৬ ও ২০০১) সাবেক উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।
মঞ্জুর এলাহী বিভিন্ন মেয়াদে ঢাকা মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কর্মাস অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স এসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি ছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে দু’বার তিনি শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও গ্রে অ্যাডভার্টাইজিং বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এছাড়া তিনি বর্তমানে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, ফ্রিডম ফাউন্ডেশন, প্রগতি ফাউন্ডেশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ইন্টারন্যাশনাল পাবলিকেশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
সম্প্রতি লন্ডনের হিলটন পার্ক লেন হোটেলের বলরুমে ‘ইউকেবিসিসিআই বিজনেস অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউর এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস’ অনুষ্ঠানের জমকালো আয়োজনে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীকে এ সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।
আজীবন সম্মাননা প্রসঙ্গে সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেন, এমন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমাকে কাজের প্রতি আরো দায়িত্বশীল করবে। এর আগেও সংগঠনটির সম্মাননা পেয়েছি। এবারের সম্মাননা আমার জন্য বিশেষ কিছু।
সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর জন্ম ১৯৪২ সালে, কলকাতায়। বাবা স্যার সৈয়দ নাসিম এলাহী ছিলেন অবিভক্ত বাংলার প্রধান বিচারপতি। বড় ভাই বিচারপতি এস এ মাসুদ ছিলেন পশ্চিম বাংলার প্রধান বিচারপতি। চার ভাই তিন বোনের মধ্যে মঞ্জুর এলাহী চতুর্থ।
পড়াশোনার শুরু সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে। এরপর ক্লাস নাইনে ভর্তি হন বিহারের বোর্ডিং স্কুলে। সেখান থেকে পরে বিশপ ওয়েস্টকট স্কুল। এই স্কুল থেকেই ও লেভেল সম্পন্ন করেন মঞ্জুর এলাহী। তারপর ভর্তি হন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। সেখান থেকে ডিস্টিংশনসহ সপ্তম স্থান অধিকার করে গ্রাজুয়েশন করেন। এরপর ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন।
মঞ্জুর এলাহীর স্ত্রী নিলুফার চৌধুরী সানবিমস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁদের এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে বাবার সঙ্গে ব্যবসা দেখভাল করেন। মেয়ে মায়ের সঙ্গে সানবিমস স্কুলে কাজ করছেন।
হৃদয় সম্রাট