উদ্যোক্তা আরিফুল ইসলাম

এক দশকব্যাপী অনলাইন বিজনেস পুরো পৃথিবীতে বেশ রমরমা হলেও বাংলাদেশে এটি নতুন। রাজধানী ঢাকার অধিবাসীদের যান্ত্রিকজীবনে কেনাকাটার সহজ আর অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই অনলাইন কেনাকাটা। তরুণ উদ্যোক্তাদের পদচারণায় মুখর হচ্ছে এই সেক্টরটি। আর এদের মধ্যে প্রিয় একটি মুখ আরিফুল ইসলাম।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর চারুকলা এবং অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে পাশকৃত পাঁচ তরুণ আরিফ, অনিক, বলরাম পাল, রুমা ও শামা প্রথম উদ্যোগটা গ্রহণ করেন। দুচোখ ভরা স্বপ্ন আর নতুন কিছু করবার তীব্র ইচ্ছা নিয়ে নেমে পরেন তারা। শুরু হয় তাদের প্রতিষ্ঠান ‘কারুশালা’র যাত্রা।

বছর ঘুরতেই হাজার হাজার মানুষের আস্থা, বিশ্বাস আর ভালবাসা অর্জন করতে সক্ষম হন। কারণ শিক্ষিত, রুচিবান আর গতিশীল মানুষের কথা মাথায় রেখে উচ্চ বিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্তের সাধ আর সাধ্যের চমৎকার কম্বিনেশনে তৈরি প্রতিটি পণ্য। উৎসবকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন রকম ড্রেস থেকে নানান কারুজ পণ্য যার প্রতিটি বুননে থাকে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য, প্রকৃতি আর বর্ণিল রঙের ছটা।

সবাই অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পরায় শেষ পর্যন্ত কারুশালা’র হাল ধরেন আরিফ আর রুমা। তারা দুজনেই সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন। অনলাইন ছাড়াও রাজধানীর হাতিরপুলে তাদের একটি আউটলেট আছে যেখানে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে কারুশালাকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে ৭জন কর্মী নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে উদ্যোক্তা আরিফুল ইসলাম ইউবি প্রেসকে বলেন, “খুব ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন এমন কিছু করা, যাতে আমি আত্মিক শান্তি আর খানিকটা আর্থিক স্বচ্ছলতা পাই। পড়াশোনা শেষে দেশের স্বনামধন্য কয়েকটি ব্রান্ডের সাথে কাজ করি, সঞ্চয় করি শিল্পের প্রায়োগিক দক্ষতা। তারপর কারুশালায় স্বত্ব নিয়োগ। আগামীতেও যেনো এমনিভাবে নতুন কাজের মধ্য দিয়ে নিজের লালিত স্বপ্ন ছড়িয়ে দিতে পারি সবার মাঝে। ও হ্যা আরেকটি স্বপ্ন। ব্যবসাটা ভালো জমলে আমার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে একটি আন্তর্জাতিক মানের কারখানা দেয়া। যেখানে কাজ করবে আমার গ্রামের নারীরা, প্রতিটি বুননে তারা ছড়িয়ে দেবে তাদের প্রত্যাশার কথা, তাদের চিরায়িত লালিত স্বপ্নের কথা”।

আরেকজন অংশীদার ফাতেমা আক্তার রুমা যিনিও জমানো কিছু টাকা, সেলাই মেশিন আর আত্মপ্রত্যয় নিয়ে নেমে পরেন। স্বপ্ন দেখেন অদূর ভবিষ্যতে তাদের প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বুটিক হাউজে পরিণত হবে।

 

বিপ্লব আহসান

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here