রাজশাহী থেকে ঢাকায় আম পরিবহনের জন্য এবারও চলবে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’। আগামী সপ্তাহ থেকে এই ট্রেন চলবে। এক জোড়া ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন রহনপুর-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী হয়ে ঢাকায় যাবে। আবার ঢাকা থেকে রাজশাহী হয়ে আসবে রহনপুর। পশ্চিমাঞ্চল রেলের এই বিশেষ ট্রেন আম ছাড়াও অন্যান্য ফলমূল এবং শাক-সবজি ঢাকায় নিয়ে যাবে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, “প্রতি বছরের মতো এবারও কম খরচে আম পরিবহনের জন্য ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ চালু করা হবে। আগামী ২২ থেকে ২৫ মের মধ্যে বিশেষ ট্রেনটি চালু করার কথা রয়েছে। আমরা একটা সভা করে চাষিদের চাহিদা অনুযায়ী সময় ঠিক করবো।”
তিনি বলেন: গুটি জাতের আম যেহেতু ঢাকায় তেমন চাহিদা নেই তাই ২০ তারিখের পর গোপালভোগসহ মিষ্টি জাতের আম পাড়া শুরু হলে তখন ট্রেন চালু হবে। আনুমানিক সময়টা হবে ২২ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে।
প্রতি কেজি আমে ভাড়া কী হবে জানতে চাইলে জিএম বলেন, সাধারণত ভাড়া এবং ট্রেনের সময় পরিবর্তন হবে না। গতবার যা ছিল তাই হবে। তবে সভা করা হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যদি পরিবর্তন হয়, তাহলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ট্রেনের সুবিধা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কাঁচা বা আধা পাকা আম যেন গরম ও অতিরিক্ত চাপে নষ্ট না হয়ে যায়, সে কারণে ধারণক্ষমতার কিছু কম পণ্য বহন করা হবে এবার।
ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছেড়ে যাবে এবং ঢাকায় রাত ২টার দিকে পৌঁছাবে। এক্ষেত্রে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ঢাকার বাজারগুলোতে তরতাজা সতেজ আম পৌঁছানো সম্ভব হবে। যানজট ও যাত্রাপথ উঁচু-নিচু না হওয়ায় আমেরও কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
গতবার মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিদিন দুপুর ২টায় রহনপুর থেকে ছেড়ে রাত ১টায় আমবাহী ট্রেনটি ঢাকায় পৌঁছায়। আবার রাত ২টা ১৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে রহনপুরে পৌঁছায় বেলা ১১টায়। রাজশাহী অঞ্চল থেকে ঢাকায় কম সময়ে আম পৌঁছাতে গত বছর ২৫ মে ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’চালু হয়। পাঁচটি ওয়াগনে ঢাকায় যায় রাজশাহী অঞ্চলের আম।
প্রতি বগির ক্যারিং ক্যাপাসিটি ৪৩ মেট্রিক টন হলেও আম বহন করা হয় ৩০ মেট্রিক টন। শুধু আম নয়, আমের সঙ্গে শাকসবজিসহ অন্যান্য ফলমূলও ট্রেনে পরিবহন হয়।
পশ্চিমাঞ্চল রেল সূত্রে জানা যায়, ‘ম্যাঙ্গো স্পেশাল ট্রেন’টি রহনপুর-চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী হয়ে ঢাকা এলেও ফেরার পথে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থামবে না।
রহনপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও আমনুরা থেকে ঢাকা পর্যন্ত প্রায় ৪০০ কিলোমিটার পথের জন্য প্রতি কেজি আম পরিবহনের ভাড়া প্রস্তাব করা হয়েছে এক টাকা ৩০ পয়সা। আর রাজশাহী থেকে ঢাকা পর্যন্ত ৩৪৩ কিলোমিটার পথের জন্য প্রতি কেজি আমে ভাড়া দিতে হবে এক টাকা ১৭ পয়সা। এই ট্রেনে মোট পাঁচটি বগি থাকে। প্রতিটি বগির ৪৩ টন ধারণক্ষমতা রয়েছে। তবে আম ভালো থাকার দিক বিবেচনা করে মোট ১৫০ টনের মতো আম পরিবহন করা হবে।
ডেস্ক রিপোর্ট,
উদ্যোক্তা বার্তা