সারদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে অর্থনীতিকে গতিময় করতে ঘরে বাইরে কাজ করে যাচ্ছেন নারী উদ্যোক্তারা। আজ ১৯ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী উদ্যোক্তা দিবস।
বিশ্বের নারী উদ্যোক্তাদের সম্মান জানাতে এবং নতুন উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করতে প্রতিবছর আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটিকে সন্মান জানাতে বেঙ্গল সিষ্টারহুড কনসোর্টিয়াম (BSC) আয়োজন করেছে আলোচনা অনুষ্ঠানের। আলোচনার আলোচ্য বিষয় ছিলো “বাজার প্রতিযোগিতায় টেকসইভাবে প্রতিনিধিত্বের জন্য পন্য ও সেবার গুনগত মান কে আন্তর্জাতিক বাজারে নিজ অবস্থান উন্নয়নে ও প্রসারে নারী উদ্যোক্তাদের করনীয়।”
যেখানে পুরো পৃথিবী দিচ্ছে প্রতি ১০০ জনে দু’জন নারীকে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার পরিসংখ্যান, সেখানে বাংলাদেশের চিত্র অনেকটাই আশাব্যঞ্জক। বাংলাদেশে মোট উদ্যোক্তার শতকরা ৩১.৬১ ভাগ নারী। নারী উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে বিশ্বের অন্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, নারী উদ্যোক্তার এই বিপুল সম্ভাবনা শুধু শহরকেন্দ্রিক নয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলে দেখা মেলে হাজার হাজার নারী উদ্যোক্তার। যারা সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে।
বাংলার উদ্যমী নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সরকারের উদ্যোগী ভূমিকা সারা বিশ্বে এখন রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। সবখানেই এখন নারী উদ্যোক্তাদের জয়জয়কার। আর্থিক ও মানষিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলার নারী, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গে উদ্যোক্তা এবং সংগঠনের কর্ণধার শারমিন জাহান অরণ্য জানান “আমরা এই সংগঠন থেকে সবসময়ই আন্তর্জাতিক নারী উদ্যোক্তা দিবস পালন করি,সেই সাথে সাথে নভেম্বরে যেসকল উদ্যোক্তাদের জন্মদিন ছিলো সেটাও পালন করলাম।আমরা চাই সকল নারীদের আর্থ ও সামাজিক উন্নয়ন।”
আলোচনা অনুষ্ঠান এবং কেক কাটা ও নিজেদের মধ্যে আনন্দ ভাগাভাগির মাধ্যমে তারা দিনটি উদযাপন করেন। উদ্যোক্তারা মেতে উঠেছিলেন নিজের মত করে। জামদানী আর মনিপুরি শাড়িতে একেক নারী হয়ে উঠেছিল অপরূপা। সংসার এর গন্ডি পেরিয়ে সকলে নিজের মত করে সময় কাটিয়েছেন।
মাসুমা সুমি, উদ্যোক্তা বার্তা