জিনাত আবেদীন ফিন্যান্স নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন দেশের নাম করা একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। চাকরি করার চেয়ে নিজে কিছু করায় প্রবল আগ্রহ তার। এদিকে পড়াশোনা ছাড়া কখনো তেমন কোনো কাজ করা হয়নি। হঠাৎ মাথায় এলো ছোটবেলা মা ও নানির পাশে দাঁড়িয়ে থেকে রান্না শেখার কথা। পরে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ এবং খাবার নিয়েই উদ্যোক্তা হওয়ার সিদ্ধান্ত।
২০১৯ সালের ২ মার্চ স্বপ্নের পথ চলা শুরু করলেন সাদা ভাত, ভর্তা, নানা ধরনের ভাজিসহ, শুটকি, ইলিশ ভাজা, মুরগির ঝাল ফ্রাই, গিলা-কলিজা দিয়ে বুটের ডালসহ নানা দেশীয় খাবারের আয়োজন নিয়ে। মূলধন হিসেবে ছিলো বন্ধুদের কাছ থেকে ধার নেওয়া ১ লাখ চার হাজার ৪৫০ টাকা। দিনে দিনে বড় হতে থাকে তার ‘ফুড সার্ভিং’। প্রফেশনালভাবে ৫ সদ্যসের টিম নিয়ে কাজ করেন উদ্যোক্তা।
উদ্যোক্তা শুধু ব্যবসাই নয়, সামাজিক কর্মকাণ্ডও করে থাকেন। গতকাল শুক্রবার পবিত্র জুমআ’র আযানের পর লালমাটিয়ার মিনার মসজিদের সামনে অবস্থানরত একশ’ জন হতদরিদ্র ও অনাহারীর মাঝে ভাত, মুরগির মাংস, আলু ও একটি করে সিদ্ধ ডিম বিতরণ করেন। এই কার্যক্রমে উদ্যোক্তা টিমের পাশাপাশি আর্থিকভাবে সাহায্য-সহযোগীতা করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক এক ব্যক্তি। এই কাজগুলোয় যারা উৎসাহ দেন ও পাশে থাকেন তাদের প্রতি ধন্যবাদ প্রকাশ করেন উদ্যোক্তা জিনাত আবেদিন।
উদ্যোক্তার ৫ সদ্যসের টিম সর্বদা শৃঙ্খলার সঙ্গে অনাহারীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করেন। ‘ফুড সার্ভিং বাই জিন্নাত’র লভ্যাংশের একটি ন্যুনতম অংশ দিয়ে তিনি সমাজের হতদরিদ্র ও অনাহারীকে একবেলা খাবাবের ব্যবস্থা করে থাকেন।
প্রতি মাসে ঢাকার অন্যান্য মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসা-এতিমখানাগুলোয় এক দিন করে সকল ছাত্র-শিক্ষকদের খাবারের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন তরুণ উদ্যোক্তা জিনাত আবেদীন।
শারমিন আক্তার
উদ্যোক্তা বার্তা ঢাকা