ক্ষু্দ্র এবং অতি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের নিয়ে বিজনেস আইডিয়া কম্পিটিশনের আয়োজন করে De Stark Entrepreneur Bangladesh. গত ৪ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডির বেক ইন্টারন্যাশনাল স্টাডি সেন্টারে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের উদ্যোক্তাদের ২ মাসব্যাপী আয়োজনের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হলো।
আইনসেবা এবং বি টেকনোলজি অ্যান্ড রিসার্চ হাবের সহযোগিতায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়৷ টেকসই এবং অদম্য উদ্যোক্তাদের খু্ঁজে বের করতেই এ ধরনের আয়োজন বলে জানান আয়োজকরা।
আইন সেবার ফাউন্ডার ব্যরিস্টার রহিমা হক বলেন, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় উদ্বুদ্ধ করা। কেননা উদ্যোক্তারা পণ্য কেনা বেচা করছেন কিন্তু কোনো রকম পরিকল্পনা করছেন না৷ যার কারণে টেকসই উদ্যোক্তা হচ্ছেন না। আমাদের দেশে অনেক উদ্যোক্তা রয়েছেন কিন্তু টেকসই উদ্যোক্তা না থাকায় অনেকেই ঝরে যাচ্ছেন।
তিনি আরো বলেন, অনেক উদ্যোক্তা জানেন না বার্ষিক আয় ব্যয়ের হিসেব কিভাবে করতে হয়। কত টাকা ইনভেস্ট করতে হবে, কোন কোন খাতে তার অর্থের প্রয়োজন এই বিষয়ে সঠিক জ্ঞান না থাকায় সঠিকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন না। আমরা সেই উদ্যোক্তাদের খুঁজে বের করতে চাই যারা ঝড় বৃষ্টি যাই আসুক অদম্য গতিতে কাজ করতে পারবেন এবং তাদের যে সকল সেক্টরে ঘাটতি রয়েছে আমরা সেগুলো মনিটরিং এবং ট্রেনিং এর মাধ্যমে টেকসই করার চেষ্টা করবো।
বিজনেস আইডিয়া কম্পিটিশনে ১৫ জন উদ্যোক্তা থেকে চূড়ান্ত পর্বে আটজন উদ্যোক্তা নির্বাচিত হয়। চূড়ান্ত পর্বে সেরা ৩ নির্বাচন করা হয়৷ ফাইনাল পর্বে বিচারক হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহীদ উদ্দিন আকবর; ট্রিম টেক্স এর স্বত্ত্বাধিকারী এবং জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা শাহীদা পারভীন; প্রাইম ব্যাংক এর ওমেন অন্ট্রাপ্রেনিয়র ডেভেলপমেন্ট ইউনিট হেড সাজিয়া আফরিন।
ফাইনাল পর্বে প্রতিযোগীরা প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তাদের উদ্যোগের বাজেটিং, আন্তর্জাতিক বাজারে অবস্থান প্রক্রিয়া, বাজার রিসার্চ, ব্যবসায় সম্প্রসারণের প্রস্তুতি এবং আন্তর্জাতিক বাজার সম্পর্কে আলোচনা করেন । বিচারকদের বিভিন্ন প্রশ্ন উত্তর, বিগত ২ মাসের বিভিন্ন এ্যাসেসমেন্ট, ট্রেইনিং, সঠিক পরিকল্পনা এবং দক্ষতার ভিত্তিতে সেরা ৩ নির্বাচন করা হয়।
তিন সেরা উদ্যোক্তার মধ্যে প্রথম হয়েছেন বেনে বৌ এর কর্ণধার মুনমুন, ১ম রানার আপ হাউজ অফ জামদানি’র স্বত্ত্বাধিকারী মুন দাস এবং ২য় রানার আপ জোহরা’স ভ্যানিটির ফাতেমা তুজ জোহরা৷
সেরা বিজয়ীর জন্য পুরস্কার হিসেবে ছিল;
• ল্যাপটপ
• ফ্রি ওয়েবসাইট (১ বছর)
• ই-ট্রেডলাইসেন্স নবায়ন সেবা
• ডিজিটাল মার্কেটিং প্যাকেজ
• উদ্যোগ ও উদ্যোক্তার নামে ক্রেস্ট
রানার-আপ বিজয়ীর জন্য ছিল:
• ফ্রি ওয়েবসাইট (১ বছর)
• ই-ট্রেডলাইসেন্স নবায়ন সেবা
• ডিজিটাল মার্কেটিং প্যাকেজ
• উদ্যোগ ও উদ্যোক্তার নামে ক্রেস্ট
প্রথম পুরস্কারপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা মুনমুন উদ্যোক্তা বার্তাকে জানান, এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমি অনেক কিছু শিখেছি। আমি আগেও অনেক বিষয়ে পরিকল্পনা ছাড়াই সিদ্বান্ত নিতাম যা অনেক ভুল ছিল আমার জন্য। আমি ধন্যবাদ জানাই আয়োজকদের এই ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য। আমরা সবাই অনেক কিছু শিখেছি যা আমাদের উদ্যোগের জন্য খুবই কার্যকরী৷
সেতু ইসরাত
উদ্যোক্তা বার্তা