ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাতত্ত্বে অনার্স এবং মাস্টার্স করেন রিফাত আনোয়ার লোপা। ২০০৫ সাল থেকে বেসরকারি টেলিভিশনে চাকরি করছেন। বর্তমানে কাজ করছেন ইনডিপেন্ডেন্ট টিভিতে, পাশাপাশি তিনি ‘সুতলি’র ডিজাইনার এবং স্বত্তাধিকারী।
২০১৬ সালে ‘সুতলি’র যাত্রা। ছোটবেলার প্যাশন থেকেই লোপার এই উদ্যোগ। পড়াশোনা শেষ করে চাকরি জীবন শুরু করলেও মনের ভেতর থেকে ডাক শুনতেন প্যাশন নিয়ে কিছু একটা করার। অবশেষে প্যাশনকে ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে কিছুটা হলেও রূপ দেওয়ার চেষ্টা করেন বছর ছয়েক আগে।
কিন্তু, উদ্যোগে অপরিপক্বতা কিংবা সংসার ও অফিস, সব মিলিয়ে ব্যস্ততার কারণে প্যাশনকে পরিচর্যা করার সময় পেয়েছেন কম। ২০১৯ সালে বোন আর স্বামীর সহায়তায় প্যাশনকে ব্র্যান্ডে রূপান্তর করার লক্ষ্যে নতুন করে হাল ধরেন। সেরকম বাধা পাননি উদ্যোক্তা জীবনে। আর যেটকু পেয়েছেন সেটা তিনি গায়ে মাখেননি। পরিবার সবসময় পাশে ছিল তার এবং আছে।
লোপা মূলত প্যাচওয়ার্ক আর কলমকারির বিভিন্ন ফিউশন করেন। মূল কাঁচামাল এই দুটোই। এগুলো ব্যবহার করে কুর্তি, ব্লাউজ, ওভারকোট, শাড়ি, স্টোল তৈরি করেন।
চারজন কারিগর নিয়ে তার টিম। পেইজের দেখাশোনা করেন নিজেই। মাঝমধ্যে স্বামী, মা, বোন প্যাকিং বা গোছগাছে সাহায্য করেন।
পুরো দেশ জুড়েই অনলাইনে পণ্য সেল হচ্ছে তার। দেশের বাইরে কানাডার টরন্টোর একটা শপে নিয়মিত যাচ্ছে ‘সুতলি’র ওভারকোট এবং ব্লাউজ। এছাড়া মেলবোর্নের একটা শপ দু’বার তার পণ্য নিয়েছে।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা সম্পর্কে উদ্যোক্তা জানালেন,”রিজনেবল প্রাইসে ভালো ও আন-কমন পণ্য ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিতে চাই। পাঁচ বছর পরে ‘সুতলি’কে দেখতে চাই দেশ-বিদেশে বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড হিসেবে।”
তরুণ প্রজন্মের জন্য লোপার পরামর্শ হলো: আপনি হয়তো সবার কথা ভাবছেন, কিন্তু আপনার ভালোবাসার কাজের জায়গা কোনটা সেটা দেখছেন না। তাই নিজের প্যাশনকে মরে যেতে দেবেন না। আপনার প্যাশনকে বাঁচিয়ে রাখুন, যত্ন করুন। তাহলেই ভালো থাকবেন।”
উদ্যোক্তা রিফাত আনোয়ার লোপার জন্ম পটুয়াখালিতে। বাবার চাকরি সূত্রে বেড়ে উঠা ঢাকায়।
মাসুমা শারমিন সুমি
উদ্যোক্তা বার্তা