একসময় নারীরা শুধুমাত্র গার্হস্থ্য জীবনের মধ্যে আবদ্ধ ছিলো। স্বামীর পরিচয়েই সমাজ তাদের পরিচিত করতো। কালের বিবর্তনে দিন বদলেছে। নারীরা এখন আর শুধুমাত্র সংসারের চার দেওয়ালের মধ্যে আটকে থাকছে না। বিশ্বায়নের যুগে ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলছেন নিজেদের স্বতন্ত্র পরিচয়। অনেকদিন ধরেই নিজের একটা পরিচয় তৈরি করার বাসনা ছিলো ইয়াসমিন নাহার দিশার। সেই লক্ষ্যে উদ্যোক্তা জীবন শুরু করেন। দেড় বছর ধরে অনেক কষ্ট ও সাধনায় নিজের উদ্যোগকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গিয়েছেন।
উদ্যোক্তা দিশা বরাবরই কেক বানাতে ভালোবাসতেন। তাই প্রথমে কেক দিয়েই উদ্যোগ শুরু করেন। এখন বিভিন্ন ফ্লেভার ও ডিজাইনের কাস্টমাইজড কেকের পাশাপাশি বিস্কুট, পাউরুটি, লাচ্ছি সেমাই , ফ্রোজেন ফুডস, গুঁড়া মসলা, নারকেল তেল, কুমড়ো বড়ি ও বিভিন্ন ধরনের থ্রি-পিস ও কুর্তি উৎপাদন ও বিপণন করছেন।
প্রথমে মাত্র ৬ হাজার টাকা দিয়ে উদ্যোগ শুরু করেন দিশা। প্রাতিষ্ঠানিক কারখানা না থাকলেও খাবারের আইটেম তৈরিতে তাকে সাহায্য করার জন্য ২জন কর্মী আছে। বর্তমানে নিজের উদ্যোগ থেকে তিনি মাসে ২৫০০০ হাজার টাকার মতো আয় করছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ‘দিশা’স ডেলাইট’ ও ‘দিশা’স কুঠিবাড়ি’ নামে উদ্যোক্তার দুটি পেইজ আছে। যশোর, নাভারন,বাগাচড়া, ঝিকরগাছা, চৌগাছা বেনাপোল, ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার পণ্য যায়।
উদ্যোক্তা দিশার গ্ৰামের বাড়ি যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার কয়ারপাড়ায়। জন্ম ও বেড়ে ওঠা সেখানেই। বাবা আব্দুস সালাম ও মা নাজমুল নাহারের চার কন্যা সন্তানের মধ্যে সবার বড় দিশা। চৌগাছা মহিলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর যশোর এম এম কলেজে অনার্সে ভর্তি হন কিন্তু বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর অনার্স কমপ্লিট করতে পারেননি। ভবিষ্যতে একটি শোরুম নেয়ার ইচ্ছা আছে উদ্যোক্তা দিশার। নিজের কাজকে ভালোবাসে হতাশ না হয়ে সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে চান।
সাইদ হাফিজ,উদ্যোক্তাবার্তা